ববি’র ভিসি অধ্যাপক এস এম ইমামুল হকের ৪৬ দিনের ছুটি মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আন্দোলনকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ফলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে সকাল থেকেই ববি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরেছেন। এছাড়াও দুপুরে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
ববি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু জাফর মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। এ সময় তারা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সাথে কথা বলেন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্লাসে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানান। এ সময় ভিসি বিরোধী আন্দোলনের কারণে টানা ৩৫ দিন পর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের তালা খুলে দেওয়া হয়। ভিসির পূর্ণ মেয়াদে ছুটি মঞ্জুর করায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, একটি অহিংস আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা ভিসির অপসারণ অথবা পূর্ণ মেয়াদে ছুটিতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের সে দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করে হলেও গত ৩৫ দিনের পিছিয়ে পড়া ক্লাস ও পরীক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নেতারা জানান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সাথে দেখা করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গেটের তালা খুলে দেওয়া হলেও আগামি বৃহস্পতিবার থেকে ক্যাম্পাস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য গত ২৬ মার্চ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করার প্রতিবাদ জানায় ববি শিক্ষার্থীরা। এজন্য ভিসি এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদে ২৬ মার্চ থেকেই ভিসির পদত্যাগ অথবা পূর্ণ মেয়াদে ছুটির দাবিতে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবনের প্রধান ফটক আটকে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন শিক্ষকরাও। গত সোমবার ভিসির ৪৬ দিনের ছুটি মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ৩৫তম দিনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।