ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের উজান মল্লিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান।পেশায় স্কুল শিক্ষক হলেও ওই এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদের প্রাণ ফেরাতে চলমান সরকারিভাবে ড্রেজিং এর মাধ্যমে উত্তোলিত বালু ও মাটি নিয়ে বেশি ব্যস্ত তিনি।
এলাকার প্রভাবশালী নুরুল ইসলামসহ আরো কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে অনৈতিকভাবে বালু ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তার এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বুধবার (১লা মে) দুপুরে গ্রামের ধীরেণ মালোর ছেলে সুকাশ মালো মারপিটের শিকার হয়েছেন।
একজন স্কুল শিক্ষকের এমন ভূমিকা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা সমলোচনা। এমন কর্মকান্ড তার নতুন নয়, তার বেপোরোয়া চলাফেরায় উগ্রআচরনে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ তার উপর ক্ষিপ্ত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ধীরেণ মালো বলেন, এলাকায় মাষ্টার মিজান সিন্ডিকেট করে বালু ব্যবসা করছে। আমার বাড়ির সামনেও ড্রেজার বসানো হয়েছে। সেখান থেকে আমার প্রতিবেশি লোকজন মাটি নিচ্ছে। মিজান ভাবছে আমিও এই ব্যবসার সাথে জড়িত তাই আমাকে খুব গালি গালাজ করছে। তখন আমার ছেলে বলে মাটি ব্যবসা তো আপনি করছেন, আমরা নয়। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলের উপর হামলা চালায়। ওরা প্রভাবশালী তাই তুচ্ছ ঘটনায় আমাদের মারপিট করতে পারে।
ভূক্তভুগী সুকাশ বলেন, বালু ব্যবসা করছে মিজান। অথচ দোষ দেয় আমাদের প্রতিবাদ করতে আমাকে গ্রামের লোকজনের সামনে মারপিট করে। পরে সবাই মিলে তাকে ঠেকিয়ে দেয়।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, তেমন মারমারি হয়নি। ছোট-খাট বিষয়। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। বালু ব্যবসার সিন্ডিকেটের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এই ঘটনার পর কাজের সাব-ঠিকাদার মোফাজ্জেল হোসেন ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।