ঘূর্ণিঝড় ফণি শুক্রবার দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় ১৯টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে ফণি খুলনা ও তৎসংলগ্ন জেলার পূর্বাঞ্চলের প্রভাব ফেলতে পারে। সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।
উপকূলীয় ১৯টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বুধবার জানান।
তিনি জানান, ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি), ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। মন্ত্রণালয়ের বিশেষ রেডিওর পক্ষ থেকে বার্তা যাচ্ছে। সেখান থেকে সাবধান হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।