কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের ‘পিরিজপুর মডেল’ কৃষক সমবায় সমিতি ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ১১টায় এলাকার কয়েক শ কৃষক ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক ছারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ যুবায়ের। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ছারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাজারে পিরিজপুর মডেল কৃষক সংগঠন ৪৫ জন সদস্য নিয়ে এই সংগঠনটি ঘটিত হয় ২০১৮ সনের মাঝামাঝি সময়ে। রবি, খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে বছরের প্রায় ২হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে কম্পোষ্ট, জৈব সার ও কেচু সার দিয়ে সবজি জমি চাষ করা হয়। এই সব সবজির মধ্যে শসা প্রতি কেজি ৭-১০টাকা, ১কেজি তিতা করলা ১৫-২০টাকা, মিষ্টি আলু প্রতি কেজি ৫টাকা, গোল আলু প্রতি কেজি ১০-১২টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১০-১২টাকা বিক্রি করা হয়। উল্লেখ্য কৃষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ভার্মি কম্পোষ্ট ও খামার জাতীয় সার উৎপাদন করা হয়। এই গ্রামের কৃষক সংগঠক মোঃ হিরু মিয়া রাসায়নিক সার ও কিটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ও বালাই নাসক ব্যবহার করে কম খরচে যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি ভাবে তিনি ও তার পরিবার আজ সাবলম্বি হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, এই বছর তার দুই একর জমি জৈব ও বালাই নাসক সার ব্যবহার করে টমেটো, শসা, কচু, ও করলা চাষ করে ৩-৪লক্ষ টাকা আয় করেছেন। কীটনাশক ব্যবহার করে গত কয়েক বছরে মোট জনসংখ্যার ২০% ডায়েবেটিস রোগে আক্রান্ত ও ১০% ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। জৈব সার ও বালাই নাশক সারের উৎপাদিত সবজিগুলো ডায়েবেটিস ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগ থেকে এই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে বলে অনেক বক্তা মন্তব্য করেন। এই সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবিএম রকিবুল হাসান, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার বাহার উদ্দিন ভূঁইয়া, উপজেলা প্রকৌশলী মাজেদুল হক সজিব, সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুখ আহম্মেদ, জাহানারা হাফিজ বিউটি প্রমুখ।