রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের মেধাবী ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ। বছর দুই আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে। গরীব মা বাবা সাব্বিরকে নিয়ে মানুষের দাড়ে দাড়ে ঘুরতে থাকে। একপর্যায়ে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে ধরা পরে “এপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া”র মতো প্রানঘাতি রোগ। ল্যাব এইড হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাব্বিরকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের ভেলরের সিএমসি হাসপাতালে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর অর্থাভাবে তাকে ফিরি আসতে হয় বাড়িতে।
বর্তমানে সাব্বিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাব্বিরের মা ছেলেকে চিকিৎসার অর্থের যোগান দিতে একটি আবেদন নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে থাকেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজার কাছে গেলে তিনি তখনই উদ্যোগ গ্রহন করেন সাব্বিরের জন্য কিছু করার।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। নিজের ব্যক্তিগত ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা সংগ্রহ পূর্বক বৃহস্পতিবার সকালে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা সাব্বিরের মা সুমাইয়া পারভীনের হাতে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
“এপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া”য় আক্রান্ত সাব্বিরের মা বলেন, ২০ দিন পর পর সাব্বিরকে বি পজেটিভ রক্ত দিতে হয়। তাছাড়া ভেলরের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সাব্বিরকে বাঁচাতে তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করা জরুরী। এটি অত্যন্ত ব্যয় বহুল। যা বহন করা আমার গরীব স্বামীর পক্ষে সম্ভব নয়। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা আমার পাশে দাড়িয়েছে এজন্য আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা বলেন, সাব্বিরের জন্য নিজের সাধ্যমত যতটুকু করার করেছি। উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরের মাধ্যমে যাতে সে আর্থিক সহযোগিতা পায় সে বিষয়েও খোঁজ রাখছি। আমরা সবার জায়গা থেকে যদি ওর পাশে দাড়াই হয়ত সে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ও সুচিকিৎসায় ভাল হয়ে পুনরায় স্কুলে যেতে পারবে। আশা করি সমাজের বিত্তবানরা ওর পাশে থাকবে।