পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বড়াল নদীর দূষণ বন্ধ ও নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে ও বড়াল নদী প্রবাহমান করার দাবিতে গতকাল শনিবার চাটমোহরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বড়াল নদী কনভেনশন ও জনসমাবেশ’।
সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা),ব্লু প্লানেট ইনেসিয়েটিভ (বিপিআই) ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে বড়াল নদী কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক অঞ্জন ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে কনভেনশনের উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড,রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী মহাম্মদ আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান। বক্তব্য রাখেন,পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমিরুল হক ভুইয়া,পাবনার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম,বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর যুগ্ম সম্পাদক ও বিপিআই-এর নির্বাহী পরিচালক শরীফ জামিল,বাগাতিপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আঃ হাদী,চাটমোহর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা পারভীন,ফরিদপুর উপজেলার এম এ হাফিজ,বড়াইগ্রাম উপজেলার ডি এম আলম,তাড়াশ উপজেলার আঃ রাজ্জাক রাজু,রায়গঞ্জের দীপক কুমার কর,চাটমোহরের হেলালুর রহমান জুয়েল,বেলাল হোসেন স্বপন,রোকেয়া আজাদ,মোঃ শামসুজ্জোহা,রকিবুর রহমান টুকুন প্রমূখ। কনভেনশনে বড়াল প্রবাহমান করার বিষয়ে মতামত গ্রহ করা হয় এবং একটি সুপারিশমালা তৈরি করা হয়।
বিকেলে একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় জনসমাবেশ। জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল। পাবনা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুুিষ্ঠত জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মজিবুর রহমান হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষনিক সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন,পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন ও চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ আঃ হামিদ মাস্টার। জনসমাবেশে কনভেশনের সুপারিশনামা উপস্থাপন করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার। দুটি অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক,মুক্তিযোদ্ধা,সাংবাদিক,শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী,পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির নেতারা জানান,বড়াল আন্দোলনের কিছুটা সফলতা আসলেও এখনো অনেক বাধা বিদ্যামান। ফলে বড়ালপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি আসেনি। বড়ালের পানিপ্রবাহ সচল রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও বড়াল দখল বন্ধ হচ্ছে না। এতে বড়ালের বিভিন্ন অংশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কিছু স্থানে চলছে ধান ও সবজি চাষ। ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। বাড়ছে দূষনও। এ অবস্থায় আজকে অনুষ্ঠিত হলো বড়াল কনভেনশন।