দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ফাইভ। গত বছরের তুলনায় এবার রংপুর বিভাগে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ পাশ বেড়েছে। এবছর ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৯ হাজার ২৩ জন। গত বছরে এই বোর্ডে পাশের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৬২ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ৭৫৫ জন।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাশের হারে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। এবার রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে শুধুমাত্র কুড়িগ্রামের সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোন পরীক্ষার্থী পাশ করেনি। গত বছর এই বোর্ডে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে কেউই পাশ করতে পারেনি।
সোমবার (৬ মে) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, চলতি বছরে দিনাজপুর শিক্ষাবোডের অধীনে রংপুর বিভাগের আট জেলায় ২ হাজার ৬৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৩৫ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। মোট পাশের হার ৮৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
পাশ করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি জানিয়ে তোফাজ্জুর রহমান বলেন, পাশের হারে মেয়েদের ৮৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ আর ছেলেদের পাশের হার ৮২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ২৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রর সংখ্যা ৪ হাজার ৮৪১ জন ও ছাত্রীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৮২ জন। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩৮ জন। আর পাশ করেছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৭৬ জন।
তিনি আরো জানান, এবারে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি। গত বছর একেবারের কেউ পাশ করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫টি। এবার শতভাগ পাশ করা বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। গত বছর ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা পাশ করলেও এবার সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানে।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফল ভাল। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, মানবিক বিভাগে পাশের হার ৭৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও বাণিজ্য বিভাগে পাশের হার ৮৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আর সব বিভাগেই পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভাল করেছে। মেয়েদের পাশের হার ৮৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ আর ছেলেদের পাশের হার ৮২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এবারে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ৪৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।