পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সামাজিক বনায়নের সাতটি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর কলারদোয়ানিয়া থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তার খলনি এলাকা থেকে ৪টি মেহগণি ও ৩ টি আকাশমনি গাছ কেটে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তারা কোন পদক্ষেপ না নিয়ে তালবাহানা করছেন।
ওই বনায়নের উপকারভোগীর সদস্য ও বনায়নের গাছের পাহারাদার বেলায়েত হোসেন জানান, গত ১০/১২ দিন পূর্ব থেকে শুরু করে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর কলারদোয়ানিয়া থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তার খলনি এলাকা থেকে ওই বনায়নের উপকারভোগী কমিটির সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক সুমন হাওলাদার তাদের সহযোগী স্থানীয় আলমগীর, শাহীন ফকির, ইয়াসিন ও সিদ্দিকদের নিয়ে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি মেহগণি ও ৩ টি আকাশমনি গাছ কেটে নেন। বিষয়টি একাধিকবার উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। গত মঙ্গলবার উপজেলা বনবিভাগ থেকে কামাল হোসেন নামে এক অফিসার এসে তাদের কাটা গাছের মধ্যে দুইটি মেহগনি গাছ জব্দ করে বনায়নের অভিযুক্ত ওই উপকারভোগীর সভাপতি আলতাফ মাহমুদের জিম্মায় রেখে চলে যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে অভিযুক্ত সুমন হাওলাদার বলেন, আমি বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে আমার বাড়ীর সামনে থেকে দুটি মেহগনি গাছ কেটেছি। গাছগুলো আমাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন, বনায়নের নয়। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন বনবিভাগ কর্তৃক একটি মেহগনি গাছ তার জিম্মায় রাখার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গাছ কাটা সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। তাছাড়া যে গাছ কাটা হয়েছে তা বনায়নের নয়। উপজেলা বন কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, বন বিভাগের গাছ কাটার কথা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। একটি গাছ জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যপারে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোন গড়িমসি বা সমঝোতা করা হচ্ছেনা। আর এভাবে সরকারি গাছ কাটার কোন নিয়ম নাই।