রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধোরশা হাটে সরকারি জায়গায় কলেজ শিক্ষক মতিউর রহমানের ইট দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ ও পীরপাল পুকুর লীজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে মাথা ফাটলো দুই আওয়ামী লীগ নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে ধোরশা হাটে দলীয় অফিসের সামনে।
জানা গেছে, উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা হাটে আওয়ামীগ অফিসের মাধ্যমে ধোরশা গ্রামের পীরপাল পুকুর লীজের ২ লাখ ২২ হাজার টাকা ও ধোরশা হাটে সরকারি জায়গায় কলেজ শিক্ষক মতিউর রহমানের দোকানঘর নির্মাণের উৎকোচের ২০ টাকা নিয়ে ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সৃষ্টি হয়। ধোরশা হাটে দলীয় অফিসের দায়িত্ব পালন করেন জাহানাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের নামধারী নেতা ধোরশা গ্রামের আবদুর জব্বারের ছেলে আবদুস সাত্তার, নায়েব আলীর ছেলে হাফিজুর, দুলালের ছেলে আবদুল লতিফসহ কয়েকজন মিলে ওই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চান। আহত আওয়ামী লীগ নেতা ইফসুফ আলী ও শহিদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন টাকা গুলো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দিতে চাইলে দু-গ্রুপের মধ্যে গন্ডগল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হন ধোরশা গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা ইফসুফ আলী (৫০), একবার আলীর ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম (৪০)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আফজাল হোসেন জানান এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ হয়নি। ধোরশা আওয়ামী লীগ অফিসের দায়িত্বে থাকা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন অফিসে জামানতকৃত টাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেয়ার কথা বললে নিজেরদের মধ্যে আত্মসাতকারিদের হামলায় আমিসহ দুইজন আহত হয়েছি।
জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলীর সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, পীরপাল পুকুরের লীজের টাকা নিয়ে সামান্য গন্ডগল হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হারিদাগাছি গ্রামে জমির সীমানা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।
জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার হরিদাগাছি নামোপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামান (মুন্ট) ও মোজাহার আলীর মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সামান্য গন্ডগল হয়। ওই গন্ডগলের সূত্রধরে রাত ৯ টার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। আহতরা হচ্ছেন হারিদাগাছি নামোপাড়া গ্রামের মৃত বাণিজ্য আলী ছেলে কামরুজ্জামান মুন্ট (৩৫), আক্কাস আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮) ও কাজিমউদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী (৪২)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্ভি করেছেন।