আকাশে কাঠফাটা রোদ। এই রোদের ভেতরেই মাথায় কয়লার ঝুড়ি নিয়ে জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের কাজ করে যাচ্ছেন। সারা গায়ে,চোখে মুখে তখন কয়লার আস্তরণ। নাকে কোন মাস্ক নেই।
এভাবে কোন ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই প্রতিনিয়ত কয়লা বহনের কারণে পাবনার বেড়া উপজেলার নগরবাড়ি ঘাটের কয়লা শ্রমিকদের জীবন নানা রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। নগরবাড়ি ঘাটে অর্ধশতাধিক শ্রমিক কাজ করে কয়লা শ্রমিক হিসেবে। কয়লার মাথায় নেয়ার সময় হাতে একটি বোতাম দেয়া হয়। একটি বোতাম অর্থ এক ঝুড়ি কয়লা বহন। এভাবে প্রতিটি বোতাম ছয়টাকা হিসেবে কাজ শেষে হিসেব করে টাকা দেয়া হয়। সারাদিনে একশ ঝুড়ি কয়লা বহন করতে হয় কয়লা শ্রমিকে। এর বেশিও টানেন অনেকে।
’যখন গোসল করতে যাই তখন দেখি নাকের ভেতর মুখের ভেতর খালি কয়লা। আগে তিনবেলা ভাত খাইতাম। এখন একবেলা খেলেই পেট ভরে যায়। তাছাড়া শ^াসকষ্টের সমস্যাও রয়েছে।’ কথাগুলো জানালেন আনোয়ার নামে এক কয়লা শ্রমিক। সোবাহান নামে এক শ্রমিক আক্ষেপ করে বলেন, ’জানি এই কাজে ম্যালা অসুখ হয় কিন্তু কি করার আছে। পেটের দায়েই করতে হয়।’
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মিলন মাহমুদ ইত্তেফাককে জানান, যারা কোন রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছাড়াই কয়লা বহনের কাজ করে তাদের শ^াসকষ্ট,ক্ষুধামন্দা, ফুসফুস ক্যান্সার এমনকি ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।