ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের মেঘনার নদীর ভাঙ্গনে আবারও বিলীন হচ্ছে চাতলপাড় চকবাজারসহ বেশ কিছু পরিবার। গত বছর এ ভাঙ্গন শুরু হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের হস্তক্ষেপে প্রায় ২০ লাখ টাকার জিও ব্যাগ ফেলে সমস্যা কিছুটা লাঘব হয়েছিল। বর্তমানে আবারও নতুন করে ভাঙ্গনে চকবাজারসহ পাশ্ববর্তী এলাকার কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি ক্রমশ বিলীন হলেও ভাঙ্গন রোধে নেয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। ফলে ব্যবসায়ীসহ পরিবারের লোকজন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে ফলে তীব্র স্রোতে নদী তীরের পানির গভীরতা প্রায় ১০০ থেকে ১২০ ফুট। চাতলপাড় চকবাজারসহ পাশ্ববর্তী এলাকার কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি মেঘনা নদীর পানির স্রোতে নদীতে ধসে পড়ার হুমকির মুখে রয়েছে। বাজারের বিভিন্ন দোকানঘরে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে। তিন তলা ভবনসহ দেওয়াল ঘর ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। চকবাজার এলাকায় গণেশ রায়ের বাড়ির দেওয়াল ঘরটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গৌর চন্দ্র রায়সহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান বাজার ও আশপাশ প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছে।ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে অনেক দোকান ঘর। যেকোন সময় বাজারের দোকানপাটসহ কিছু পরিবারের বসত বাড়িঘর আবারও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই তারা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে । ব্যবসায়ী মহলসহ এলাকাবাসী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ বলেন মেঘনার ভাঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী চকবাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পাশ্ববর্তী এলাকার কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে এখন অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রিত। আবারও নতুন করে ভাঙ্গনের শিকার এসব এলাকার বাসিন্দারা। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন চাতলপাড়বাসীর দাবি। তিনি জানান গত বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবর ডিও পত্রের মাধ্যমে চাতলপাড় চকবাজারসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প গ্রহন করলেও প্রকল্পটি বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।