জামালপুরের মেলান্দহে বিগত ৫৯ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা আর হয় নি। ১১টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভায় পানি প্রবেশ করেছে। মেলান্দহ সদরের সাথে ইউনিয়ন সদরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। দুরমুঠ রেলস্টেশন পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বানভাসিদের দুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। পানিবন্দি প্রায় ৩ শতাধিক গ্রামের মানুষ বাড়িÑঘর ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে রাস্তা-ব্রিজ বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেল স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে। কোথাও ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে না। রোকনাই বাজারে স্থানীয়ভাবে লঙ্গর খানা খোলা হয়েছে। কোন কোন এলাকায় লাশ দাফনেরও জায়গা নেই। বন্যা দূর্গত মানুষ ও গবাদি পশুর খাদ্য পানীয় সংকটে পড়েছে।
নাংলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মাফল জানিয়েছেন-এ পর্যন্ত কোন ত্রাণ বরাদ্দ পান নাই। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আ: রাজ্জাক জানিয়েছেন, বন্যা দূর্গতদের জন্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং ৬৫ মে: টন চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়। ত্রাণ বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।