সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ পায়রা সমুদ্র বন্দরে ব্যবহারের জন্য আনন্দ শিপইয়ার্ড নির্মিত বয়া লেয়িং নৌযান ‘রাঙ্গাবালী’ বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে। আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজ নামের একটি জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে রাঙ্গাবালী নামের এ নৌযানটি মেঘনা নদীর পানিতে ভাসায়। আগামি এক মাসের মধ্যে এ জাহাজটি সোনারগাঁয়ের মেঘনা ঘাট থেকে পায়রা বন্দরে পৌছাবে বলে আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পায়রা সমুদ্র বন্দরে ব্যবহারের জন্য নির্মীত রাঙ্গাবালী নদীতে ভাসানো উপলক্ষে আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজ কোম্পানি এক অনারম্ভর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-প্রকল্প পরিচালক কায়সার মাহমুদ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডক মাস্টার ক্যাপ্টেন এস এম শরিফুল ইসলাম, ডেপুটি সুপারভিশন কনসান্টেন্ট মনিরুল ইসলাম, আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডঃ আব্দুল্লাহ হেল বারী, আনন্দ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরুজা বারী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, নির্বাহী পরিচালক তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (কারিগরি) সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ নাজমা নওরোজ প্রমুখ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরে জাহাজ চলাচলের জন্য নৌ-পথ চিহ্নিতকরণের জন্য বয়ার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একেকটি বয়ার ওজন ১০ থেকে ১৬ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। পানিতে ভাসমান বয়ার ওপরে লাল ও সবুজ সংকেত বাতি বা বীকন থাকে। যার সাহায্যে জাহাজ চলাচল করে। আনন্দ শিপইয়ার্ডে নির্মিত রাঙ্গাবালী জাহাজে ২০ টন ধারনক্ষমতার একটি ক্রেন রয়েছে। যা দিয়ে বয়া স্থাপন ও স্থানান্তরের কাজ করা হবে। ৩৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার বয়া লেয়িং নৌযান ‘রাঙ্গাবালি’ নির্মাণে আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-প্রকল্প পরিচালক কায়সার মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, নির্ধারীত সময়েই আনন্দ শিপইয়ার্ড জাহাজ নির্মানের কাজ শেষ করেছে। এটা পায়রা বন্দরের জন্য বড় খুশির খবর। আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজ লিমিটেড গুনগত মানের জাহাজ তৈরী করেছে যা দীর্ঘ মেয়াদে সেবা দেবে। জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডঃ আব্দুল্লাহ হেল বারী বলেন, পায়রা বন্দরের জন্য নির্মীত জাহাজ রাঙ্গাবালী অত্যন্ত উন্নত মানের। এ জাহাজ ভাল সেবা দেবে বলে প্রত্যাশা করছি। দেশে জাহাজ আমদানির প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে জাহাজ নির্মান শিল্প অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। সম্ভাবনাময় এ খাত একদিন দেশের রপ্তানী খাত হিসেবে জায়গা করে নেবে।
আনন্দ শিপইয়ার্ড এ- শ্লিপওয়েজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরুজা বারী বলেন, আমাদের কোম্পানীতে নির্মীত 'রাঙ্গাবালী কমপক্ষে ৫০ বছর সেবা দেবে বলে আশা করছি। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে ছোটখাটো কিছু সমস্যা আছে। তবে উন্নয়নবান্ধব সরকার এসব সমস্যা নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন আমরা প্রত্যাশা করছি।