সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা’র আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতোমধ্যে রং তুলির কাজ কোথাও শেষ হয়েছে, আবার কোথাও দ্রুত গতিতে চলছে। তবে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। এবছর ফরিদপুর জেলার নয়টি উপজেলায় মোট ৭৫০টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে সদর উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। তার বাড়িতে সর্ব বৃহৎ পরিসরে এক মন্ডপে ২৫২টি প্রতিমা দিয়ে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয়া দূর্গোৎসবের শুভ সূচনা হবে। ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার হবে দূর্গার বোধন ৪ অক্টোবর শুক্রবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দশমীতে দেবী দূর্জার বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই ধর্মীয় উৎসব।
পূজার বাকি আর মাত্র এক দিন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। আর সে কারণেই প্রতিমা শিল্পীরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিন রাত ব্যস্ত সময় পারকরছেন। প্রতিমা তৈরী, রং তুলির কাজ, গেট নির্মান, আলোকসজ্জাসহ আনুষঙ্গিক কাজ প্রায়। দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে ফরিদপুর জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যতিক্রমী নানা আয়োজনের কারণে এ জেলাতে পূজা দেখতে দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে।
দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার চাদঁপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামে সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথের বাড়িতে ২৫২টি প্রতিমার মাটির কাজ শেষে শিল্পীরা রং তুলিতে ব্যস্তসময় পার করছেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এই ৪টি যুগের পৌরাণিক কাহিনি মহা ভারত ও রামায়ণের গল্পকথা নিয়ে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ৬ জন মৃৎ শিল্পী একটানা তিন মাস রাত-দিন পরিশ্রম করে ২৫২টি প্রতিমা তৈরী করেছেন। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন রং তুলির কাজে। ব্যতিক্রমী এই পূজার আয়োজন দেখতে পূজার আগে থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। এছাড়াও ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা শরৎ সাহার বাড়ী, পুরাতন বাসষ্টান্ডের দুটি পূজা, কাসারী পট্টি, স্বর্ণকার পট্টি, সহ জেলায় মোট ৭৫০টি মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিতহবে।
ব্যাতিক্রমি পুজার আয়োজক সিআইপি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ জানান, দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করেই এই ভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি এই পূজা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসবে।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চন্দ্র সাহা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্নভাবে দূর্গা পূজা শেষ করতে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। মন্দির গুলোতে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসারসহ মোবাইল টিম কাজ করবে।