দ্বিতীয় কলকতা খ্যাত ঝালকাঠি শহরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম। এই শহরের শহরের প্রাণ কেন্দ্র গুলোর মধ্য অন্যতম ৮নং ওয়ার্ডের উদ্বোধন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের পাশ ঘিরে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও হাজারো মানুষের চলাচল। স্কুলের ক্ষুধে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের প্রতিনিয়ত নাক চেপে চলতে হয় এখান থেকে।
বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সভাপতি আলহাজ শামসুল হক মনু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ শহর আপনার-আমার সকলের। দ্বিতীয় কলকতা খ্যাত ঝালকাঠি আজ তার সুনাম-খ্যাতি নষ্ট হতে চলছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র যেখানে একটি কালভার্টের ওপর বিগত কয়েক মাস ধরে পচা ময়লা-আবর্জণা ফেলে রাখা হয়েছে। যাতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা নাক চেপে পথচলতে বাধ্য হচ্ছে। দ্রুত এলাকাটির ময়লা-আবর্জণামুক্ত করে মানুষের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
ওই স্কুলে ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী রিমি আক্তার, ফেরদৌসি, কুলসুম ও সবুজ জানান, আমরা গন্ধে স্কুলে যাইতে পারিনা। নাক চেপে যাইতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সুবল দাস বলেন, প্রায় একমাস ধরে এভাবে ময়লা ফেলে রাখা হয়। এই এলাকায় কখনো সুইপারের দেখা মেলেনা।
অপর বাসিন্দা আলী আশরাফ বলেন, এক সময়ে ¯্রােতধারা বহমান বাঁশপট্টি খালটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভরাট করে বাড়িঘর তৈরী করে এটিকে মৃত করে ফেলে রাখা হয়েছে। যে খাল থেকে একসময় বড়বড় নৌকা চলতো সেই খালে এখন আর পানি ওঠেনা। জোয়ার ভাঁটা কি খাল পাড়ের বাসিন্দাদের তা মনে নেই।
ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, ছোট্ট শহর ঝালকাঠিকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা খুব বেশি বড় কোন কাজ নয়। রাস্তা গুলোতে সুইপাররা নিয়মিত পরিস্কার না করায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জণার স্তুপ হয়ে থাকছে।
শহরের অভ্যন্তরের খালগুলো পুনরায় উদ্বারে জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।