কসবায় জোরপূর্বক ধর্ষনের শিকার হওয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রী এখন তিন মাসের অন্তসর্ত্বা। পুলিশ ওই ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল বাশার কে গ্রেপ্তার করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক আবুল বাশার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার গণিত বিষয়ের শিক্ষক। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষক আবুল বাশোর পাঁচ বছর আগে শ্রীপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় গণিত বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছেন। তিনি মাদ্রাসার পাশেই একটি বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েকে নিয়ে নিয়ে বসবাস করেন।
ওই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী শিক্ষক আবুল বাশারের কাছে গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়তেন। তিন মাস আগে ওই শিক্ষকের বাসায় কেউ ছিল না। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। সহজ সরল প্রকৃতির মেয়েটি ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানায়নি।
গত রোববার ওই শিক্ষার্থীর পেটে প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে আসেন। এ সময় চিকিৎসক তার পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে পান সে তিন মাসের অন্তঃসত্বা। বিষয়টি জানাজানা হলে ওই ছাত্রী জানায় তাদের গণিত বিষয়ের স্যার আবুল বাশার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিলেন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, স্যার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। কাউকে বিষয়টি জানালে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাননি।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মেয়েটির পেটা ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখা গেছে তিন মাসের অন্তঃসত্বা।
কসবা থানার উপপরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন বলেন, জোরপূর্বক ধর্ষনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী তিন মাসের অন্তস্বত্ত্বা। মেয়েটি সহজ সরল প্রকৃতির। এ অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষনের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষনের মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক থানা হাজতে রয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।