বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়নে ৪র্থ শ্রেনী ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনী ছাত্র প্রবাসী মো. জসিম উদ্দিনের পুত্র মো. শাওনকে স্কুল চলাকালীন সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দীবা বেগম পিটিয়ে আহত করেছে। গত ২০ শে অক্টোবর দেড় টার সময় বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমে বসে শাওন ক্লাসে সহপাঠীদের সাথে দুষ্টুমি করছিল। এ সময় শিক্ষিকা দীবা বেগম ব্যাত নিয়ে শাওনকে বেদরকভাবে মারধর করে এবং শাওন অসুস্থ হয়ে পরে। কিছুক্ষন পরে শাওন একটু সুস্থ হলে তাকে কোন চিকিৎসা সেবা না দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে শাওনের মা প্রধান শিক্ষকে বিষয়টি অবিহিত করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনায়েত হোসেন তালুকদার ঘটনাটি খুবই দু:খ জনক। তিনি বলেন স্কুলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ঘটনার সাথে জড়িত খন্ডকালীন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শাওনের পিতা মো. জসিম উদ্দিন মোবাইল ফোনে অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে বেত্রাঘাত করে আহত করার পরেও স্কুল কতৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ও বিচার দাবি করেছেন তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষিক দীবা বেগম সরাসরি বলেন, শাওন ৪র্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। ক্লাসে দুষ্টমী করার কারণে তাকে কাঠের ব্যাত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনা পরির্ষদের সভাপতি এনামুল হক মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবষিয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনায়েত হোসেন তালুকদার আমাকে কিছু জানায়নি। এবিষয় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক তাকে বিষয়টি অবিহিত করেনি। এছাড়াও বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ওই সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অথবা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উল্লেখ যোগ্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে অভিভাবক মহলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে।