পরকালে স্বর্গ লাভের আশায় পরিবারের সকলে মিলে বিড়াল ,কুকুর ও শালিক পাখি, হৃদয় নিংড়ানো ভালো বাসা দিয়ে লালন-পালন করছেন কেশবপুরের বাগডাঙ্গা গ্রামের শিশির কুমার সরকার ও তার স্ত্রী রাধু সরকার।
সরোজমিনে জানা গেছে, কেশবপুরের বাগডাঙ্গা গ্রামে শিশির কুমার সরকার এর বাড়ীতে ২১টি বিড়াল,২টি কুকুর ও অসংখ্য শালিক পাখি রয়েছে। ২১টি বিড়ালের ২১রকম নাম রাখা হয়েছে। ১৫/১৬ বছর যাবত তিনি এ কাজটি করে যাচ্ছেন।
গ্রামে কোন বাড়িতে অসুস্থ বিড়াল থাকলে সুস্থ্য করার জন্য তার বাড়িতে রেখে যায়। সে বাজার থেকে ওষুধ কিনে তদের কে সুস্থ্য করার চেষ্টা করেন। বিড়াল গুলোর নাম হচ্ছে, কু-ু,ছটু, লটারী, ঝিমি, ঘিমি, ছুট্রি, সাহেব, ভালো, ডাকু, বুড়ো, পুটু, কুটু, বটু, বড্ডু, মশে ও সরকারী মা ইত্যাদি।২টি দেশি মাদি কুকুর রয়েছে তাদের নাম,চিনি ও মিছরি।শিশির কুমার সরকার একজন যাত্রা শিল্পী, ধর্মীয় বই ও সাধারন বই পড়ে বহু অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন ঈশ্বর কে পেতে হলে এ সকল প্রানীকে লালন-পালন ও সেবার মাধ্যমে তাকে সহজে পাওয়া যাবে। অসংখ্য শালিক পাখি প্রতিদিন বেলা উঠার পরপরই খাওয়ার জন্য তার বাড়িতে চলে আসে।খাওয়ার পর ওরা আবার তাদের মতো করে চলে যায়।তার বাড়ীতে প্রানী গুলের জন্য আলাদা কোন ঘর বা যায়গা নেই।বাড়ীর ঘর-বারান্দা সকল যায়গায় তাদের জন্য উন্মক্ত।শীতের সময় তাদের লেপ- খাতার মধ্যেই থাকে ওরা।আলাদা কোন যায়গা দেওয়া লাগেনা।দিনে তিন বারই খেতে দিতে হয়।তাদের নিয়মিত খাবার দুধ ও মাছ।
প্রতিবেশী সাধনা বিশ্বাস জানান,তারা পরিবারের সবাই ১৫/১৬ বছর যাবত প্রানী গুলোকে এ ভাবে লালন পালন করে আসছে।
শিশির কুমার সরকারের স্ত্রী রাধু সরকার জানান, তাদের জন্য আলাদা দুধ -মাছ বাজার থেকে প্রতি দিন ক্রয়/কিনে আনতে হয়।ওরা কাঁচা মাছ খেতে চায়না।আলাদা ভাজি করে পিশিয়ে প্রত্যেকে কে আলাদা আলাদা করে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়।ওদের কে আমি এমনভাবে আগলে রাখি যে তাদের রেখে অন্য কোথায়ও রাত যাপন করতে পারি না।
শিশির কুমার সরকার জানান,কুকুর-বিড়াল কে কেউ ভালো নজরে দেখে না সবাই তাদের কে অবহেলা করে। আমরা কখনো তাদের অবহেলা করিনা।যতদিন বেঁচে থাকব ততদিনস্বামী বিবেকান্দর এ উক্তি অনুযায়ী তাদের সেবা করে যাবো।