কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের চিওড়া গ্রামের নাজিম উদ্দিন নামের এক যুবককে ওমান নেয়ার কথা বলে নেপালে নিয়ে বন্ধিশালায় আটক রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাশ্ববর্তী পোশাই গ্রামের ব্যবসায়ী আল মামুন ইসলামের বিরুদ্ধে। নাজিমের পরিবার দালালকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করলে ১৪ দিন পর বন্ধিশালা থেকে মুক্তি পায় সে। নাজিম উপজেলার ঢালুয়া ইউপির চিওড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় নাজিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর চিওড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নাজিম উদ্দিনকে ওমান নেয়ার কথা বলে পোশাই গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ব্যবসায়ী আল মামুনকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেয়ার পর মেডিকেল চেক-আপ সম্পন্ন করেন। টাকা দেয়ার ৮ দিনের মাথায় ফ্লাইটের কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যান। ফ্লাইটের সমস্যার কথা বলে তাকে সড়ক পথে ভ্রমন ভিসায় ভারতে পাঠায়। পরে একই দিন রাতে ভারত থেকে সড়ক পথে আবার নেপাল পাঠায়। নেপালে নিয়ে একটি বন্ধিশালায় আটকে রেখে দালালচক্র এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে নাজিমের উপর নির্যাতন চালায়। নাজিমের পিতা রিক্সা চালক মানুষের থেকে ঋন নিয়ে অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে মামুনকে প্রদান করলে ২৪ অক্টোবর বন্ধিশালা থেকে নাজিম মুক্তি পায়। সেখান থেকে সড়ক পথে ভারত হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। সহায় সম্বলহীন নাজিম উদ্দিন এখন দিশেহারা।
এ বিষয়ে নাজিমের পিতা আবুল কাশেম বলেন, আমি ঋন নিয়ে বহু কষ্টে টাকা দিয়েছি পরিবারের স্বচ্চলতা ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে ওমানের কথা বলে নেপালে নিয়ে বন্ধিশালায় আটক রেখে নির্যাতন করেছে। টাকা দিলে আমার ছেলেকে মুক্তি দেয়। এখন আমি কীভাবে ঋনের টাকা পরিশোধ করবো বুঝতে পারছি না। তাই আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আল মামুন ইসলাম বলেন, আমার কাছে আসলে ঢাকার জনৈক শরাফাত আকাশের নামের এক ব্যাক্তির কাছে পাঠাই। তার পাসপোটে ভিজিট ভিসা লাগানো রয়েছে। আমার কাছে কোন টাকা দেয়নি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন অর রশিদ পিপিএম বলেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে।