ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামে দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পাল্টাপল্টি হামলায় কমপক্ষে ২৫টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬জনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় বনচাকী গ্রামের সহিদুল সিকদারের স্ত্রী শাহরন বেগম বাদি হয়ে শুক্রবার রাতেই চতুল ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুকে (৪৫) প্রধান আসামিসহ ৯জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বনচাকী গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. জালাল সিকদার ও সাবেক ইউপি সদস্য রহমান মৃধার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। ৭-৮দিন আগে বনচাকী মাদ্রাসার শিক্ষক নুর আলমকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে রহমান মৃধার লোকজন মারধর করে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে রহমান মৃধার লোকজন ও জালাল সিকদারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে পাল্টা পাল্টি বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ বাড়ি ভাংচুর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ সময় সেখান থেকে চতুল গ্রামের মিজানুর রহমান (২০), বাইখির গ্রামের হামিদুল খান (২১), মনোয়ার (২০), হাসমতউল্লাহ (৩৮), বনচাকী গ্রামের জিন্নাত শেখ (৪৯) ও সাকি মিয়াকে (২৪) আটক করা হয়।
বোয়ালমারীর থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই এলাকায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আটকৃতদের শনিবার ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।