সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত সমকালের নির্ভিক সাংবাদিক গৌতম দাসের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ নভেম্বর রোববার। এ দিনটি পালন উপলক্ষ্যে ফরিদপুরে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরে দৈনিক সমকাল ব্যুরো অফিসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় গৌতম দাসকে। গৌতমকে হত্যা করার পর প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সাংবাদিকসহ ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনতা। পরবর্তিতে এ হত্যা মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থনান্তর করা হয়।
গত ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদ-ে দন্ডিত করা হয়।
ফরিদপুর শহরের প্রধান সড়ক মুজিব সড়কের সংস্কার কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সমকালে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের উপর ক্ষুদ্ধ হন তৎকালীন বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের মদদপুষ্ট ঠিকাদার গোষ্ঠি। চিহ্নিত ওই ঠিকাদারদের যোগসাযোসে তৎকালীন ক্ষমতাশীন দলের ক্যাডাররা পরিকল্পিত ভাবে সাংবাদিক গৌতম দাসকে হত্যা করে বলে প্রমানিত হয় আদালতে।
প্রসঙ্গতগৌতম দাস দৈনিক প্রথম আলোর ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর তিন মাস আগে ২০০৫ সালের অগস্টে তিনি প্রথম আলো ত্যাগ করে নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে দৈনিক সমকাল-এর ফরিদপুরের অফিসের ব্যুরো প্রধান হিসেবে যোগদান করেন।
আজকের কর্মসূচি ঃ
গৌতম দাস হত্যার ১৪তম বার্ষিকীতে ফরিদপুর ও গৌতমের জন্মস্থান ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায় চন্ডিদাসদী গ্রামে গৌতমের সমাধিতে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও প্রথম আলো বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ১১টায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে গৌতম দাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, পরে আলোচনা সভা।
গেতৈম দাসের স্ত্রী দিপালী দাসের উদ্যোগে দুপুরে ফরিদপুর শহরের শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া গৌতমের ভাই-বোনদের উদ্যোগে ভাঙ্গার চন্ডিদাসদী গ্রামে পারিবারিকভাবে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।