সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অসম প্রেমিক যুগল উধাও। মিডিয়া কর্মীদের উস্থিতি টের পেয়ে অবস্থা বেগতিক দেখে সমঝোতা বৈঠক ভন্ডুল, বৈঠক থেকে সটকে পড়েন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। জানা যায়, উপজেলার পাঙ্গাসী ইউপির মীরের দেউলমুড়া গ্রামের মোঃ আলমের মেয়ে পাঙ্গাসী লায়লা মিজান স্কুল এ কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া পার্শ্ববর্তী চকনূর গ্রামের মোঃ শাহ জামালের পুত্র একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ইয়াছিন আলী এর সাথে অসম প্রেমে জড়িয়ে পড়ে প্রেমিক যুগল। এরই এক পর্যায় গত শনিবার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে তারা দু’জন বিয়ের উদ্দেশ্যে অজানার পথে পাড়ি জমায়। এ বিষয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম প্রামাণিকের বাড়িতে এক সমঝোতা বৈঠকে ৬ লাখ টাকা দেন মোহর নির্ধারণ করে রেজিষ্ট্রি বিহীন কালেমা পড়িয়ে বাল্য বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় স্থানীয় উপস্থিত হয়ে অসম এ বিয়ের বিষয়ে চেয়ারম্যানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বৈঠক স্থল থেকে সটকে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে ওই চেয়ারম্যান ইতিপূর্বেও একই ইউনিয়নের কালিঞ্জা গ্রামের ইসমাইলের প্রতিবন্ধী মেয়ে রেশমাকে চর ভদ্রঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা হলে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ওই বিষয়টি নিয়ে ৪ লাখ টাকার মাধ্যমে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়। উল্লেখ্য যে, ধর্ষণ মামলা আপোশ মীমাংসা করার এখতিয়ার চেয়ারম্যানের না থাকলেও ওই চেয়ারম্যান আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তা আপোশ মীমাংসা করে যাচ্ছেন নিয়মিত। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় প্রেমিক যুগলকে তাদের পিতা-মাতার নিকট হস্তান্তর করেছি।