কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রাম গুলোতে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ বছর উপজেলায় প্রচুর পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। কৃষকের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ পেঁয়াজ সংরক্ষণের সরকারি ব্যবস্থা থাকলেও অন্য মৌসুমে অধিক দামে বিক্রয় করা যেত। বাজারসহ জেলার হাটবাজার গুলোতে খুচরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছেু।
দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় আগাম চাষ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে এগুলোর দামও বেশি এবং পরিমাণও কম। আশা করা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের আমদানি বাড়বে। ঝিনাইদহের কৃষি বিভাগের সূত্রানুযায়ী, এ বছর জেলার ৯০২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা অনুয়ায়ী সবচেয়ে বেশি শৈলকুপায় ৭ হাজার ১৩ হেক্টর জমিতে, ঝিনাইদহ সদরে ৫৩৫ হেক্টর জমিতে, মহেশপুরে ৬৮৩ হেক্টর জমিতে, হরিণাকু-ে ৩৫৯ হেক্টর জমিতে, কোটচাঁদপুরে ১৭৪ হেক্টর জমিতে ও কালীগঞ্জে ১৩৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। গত বছর জেলার ছয় উপজেলায় আট হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছিলো চাষিরা। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৪ হেক্টর জমিতে বেশি। আর এসব জমি থেকে ৬৮ হাজার ৪৪৫ মেট্টিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল। যা জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলায় রফতানি করা সম্ভব। এবছর এক বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। মাঠ থেকে তুলে মণ প্রতি সাড়ে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। কৃষক শাহিনুর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ক্ষেত থেকে তিন,শ মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। কৃষকরা বলছেন বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এক বিঘায় এক,শ মণ পেঁয়াজ পাচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু সরকারি ভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন না। তাই অনেক সময় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন।
জেলার পেঁয়াজ উৎপাদনকারি একাধিক চাষি জানান, আমরা পেঁয়াজ জমি থেকে তুলে আনার পরই বিক্রি জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কারণ আমাদের রাখার মত কোনো সংরক্ষনাগার নেই। বাড়ির উঠানে, খোলা খামারে কোনো রকম রেখে বিক্রি করতে পারলেই মনে হয় পার পেয়ে যাই, এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়। ফলে আমরা সব সময়ই সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হই। তাই সংরক্ষনাগার থাকলে সঠিক মূল্য এবং সঙ্কট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।