বগুড়ার শাহজাহানপুরের পল্লীতে জুয়ার আসরে অভিযান কালে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ।এসময় মাদক জুয়ার সরঞ্জাম সহ সঙ্গবদ্ধ জুয়ারু চক্রের ৭জনকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে জুয়ার মূলহোতাকে ছেড়ে দেবার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। পুলিশ গুলি বর্ষন ও আসামীকে ছেড়ে দেবার বিষয়টি অস্বিকার করেছে।
আটককৃতরা হল, শাহজাহানপুর উপজেলার পারতেখুর এলাকার খান আতাউর রহমানের ছেলে জুয়েল রানা (২৭),ইনসান আলী টুুকুর ছেলে রনি(৩০) বাটু সরদারের ছেলে রকি(৩০)হযরত আলীর ছেলে পলাশ হোসেন(২০)এবং একই এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে কাজল সরদার (৩২)।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পারতেখুর সরদারপাড়ার মাজেদ আলীর পুত্র নুরুন্নবীর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও জুয়াড় আসর বসতো। এনিয়ে বেশ কিছুদিন আগে গ্রেফতারকৃত জুয়েলের বাবা খানআতাউর রহমানের সাথে বাড়ির মালিক নুরুন্নবীর কথা কাটাকাটি হয়েছিল। নুরুন্নবীর ওই বাড়ীতে প্রতিরাতে জুয়ার আসর ও জুয়ার মোহে পড়ে স্বর্বস্ব হারিয়ে ফিলছিল লোকজন। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও ভয়ে এ বিষয়ে কোন মুখ খুলতে কেউ সাহস করেনি। এ নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্য তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছিল।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াই টার দিকে শাহজাহানপুর থানার এসআই মাসুদের নের্তৃতে পুলিশের একটি দল উপজেলার পারতেখুর গ্রামে নূরুন্নবীর নব নির্মিত বাড়ীতে হানা দেয়।এসময় সেখান থেকে বাড়ীর মালিক এবং জুয়া আসরের আয়োজক ব্যবস্থাপক নুরুন্নবী সহ ৬জুয়ারুকে হাতে নাতে নাতে আটক করলেও নুরুন্নবীকে সেখান থেকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় নেশা এবং জুয়ার সরঞ্জামাদী ধারালো অস্ত্র ,চাকু ছোরা।
শুক্রবার বিকালে এ বিষয়ে থানার এসআই মাসুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৬জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত কররেও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার ,ফাঁকা গুলি বর্ষন এবং নূরুন্নবী নামের কোন আসামীকে ছেড়ে দেবার অভিযোগ অস্বিকার করেন।