অগ্রণী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখার ব্যবস্থাপক বিশিষ্ট কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাজ্জাদ খান জেলার সেরা ব্যবস্থাপক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর নেত্রকোনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক বোর্ড মিটিংয়ে অঞ্চল প্রধান এ ঘোষণা প্রদান করেণ। সবক’টি নির্দেশিত সকল লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হওয়ায় এ পুরষ্কার প্রদান করা হয় তাঁকে।
সূত্রে জানা যায়, ‘দেশ ও জাতির সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ থেকে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, দূর্গাপুর শাখা,নেত্রকোনা বরাবরের মতোই এবারও বার্ষিক হিসাব সমাপনীতে অঞ্চল প্রধান কর্তৃক নির্দেশিত সকল লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। দুর্গাপুর শাখার ডিপোজিট টার্গেট ছিলো ৬৪ কোটি যার বিপরীতে শাখা ব্যবস্থাপক চৌকুস দক্ষতায় অর্জন করেছে ৭৪ কোটি, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১০কোটি টাকা বেশি। গত বছরের শুরুতে ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় শাখার ডিপোজিট ছিল মাত্র ৩৫ কোটি যা গত দুই বছরে দ্বিগুনের চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে। পাশাপাশি ঋণ বিতরণ করেছেন ২২ কোটি টাকা, বৈদেশিক রেমিটেন্সও পরিশোধ করেছেন ২২ কোটি টাকা। এ বছরে শাখার বার্ষিক মুনাফা অর্জনের পরিমান ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা যা নেত্রকোনা অঞ্চলের জন্য রেকর্ড। অবলোপনকৃত ঋণ শতভাগ আদায়ের পাশাপাশি শাখাটিকে শ্রেণীকৃত ঋণমুক্ত ঘোষনা করতে সক্ষম হয়েছেন শাখা ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ খান। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বিশেষ কর্মসূচি এবং ক্রাশ প্রোগ্রামগুলোও এ ব্যবস্থাপক সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন। দুর্গাপুর শাখায় ঋণখেলাপী কৃষকদের বিরুদ্ধে যেসকল মামলা ছিলো তা সম্পূর্নভাবে শেষ করা হয়েছে। আর কোনো কৃষকের বিরুদ্ধে একটি মামলাও এ শাখাতে নেই। এক প্রশ্নের জবাবে অগ্রণী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখা ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ খান বলেন, এসব লক্ষ্য অর্জনে শাখার কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পাশাপাশি অঞ্চল প্রধান নুরুল ইসলাম স্যারের বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনায় ও মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা স্যারের পরামর্শ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। বঙ্গবন্ধু কর্ণারের নন্দিত উদ্ভাবক, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সি ই ও মোহাম্মদ শামস্ উল ইসলাম মহোদয়ের অগ্রণী ভাবনায় আমাদের এ অর্জন মুজিব বর্ষে উৎসর্গ করলাম।