লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাও ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেলে ৮ মেম্বার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে উপজেলাব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠেছে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি যড়যন্ত্র দাবি করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানায়,ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানা তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড লুটপাট করছে। চলতি অর্থ বছরে পাওয়ায় একটি পাকা ঘর তার বোনকে দেয় বাকি একটি ঘর অন্য জনের নিকট ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করে। বিধাব,বয়স্ক,প্রতিবন্ধি,মাতৃত্বকালিন ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতার কার্ড নিজের ইচ্ছেমত বিতরণ করে। ওয়ান পার্সেনের টাকা উন্নয়ন কাজ তো দুরের কথা মেম্বারদের সাথে পরামর্শ করেনি। প্রতিটি ইজিপি প্রকল্পের ৩০% সহ বিভিন্ন টিআর,কাবিখা,কাবিটা প্রকল্পের লুটপাট করছে এবং ২০ হাজার টাকা করে আদায় করে গ্রামবাসীদেও ১০টি নলকুপ বরাদ্দ দিয়েছে। চেয়ারম্যান অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ইতোমধ্যে তার বাহিনীর লোকজন ইউপি মেম্বার,ব্যবসায়ী,প্রবাসী সহ বিভিন্ন মানুষের উপর হামলা করছে। জেলা প্রশাসনের নিকট দায়ের করা অনাস্থাতে স্বাক্ষর করেছেন ইউপি মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান,মোঃ নুরনবী,মোঃ শেখ ফরিদ,নুরুল আমিন,আবুল কাসেম,মোহাম্মদ হোসেন বাবুল,সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হোসনেয়ারা বেগম। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,থানা কর্মকর্তা ইনচার্জকে প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানা বলেন বলেন,আমার পরিষদের মেম্বারগন বিভিন্ন ভাতা,উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ড থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে পারছে না। পাশাপাশি স্থানীয় এমপির ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে অসহায়,দরিদ্র,চিন্নমুল মানুষদের মাঝে শীতের কম্বল সহ বিভিন্ন অনুদান বিতরণে মেম্বারগন লুটপাট করতে না পারায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে।