মুলাদীতে স্বামী তালাক দেওয়ায় আতœহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক গৃহবধু। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আকবর মুন্সীর মেয়ে তানজিলা আক্তার হারপিক পান করে আতœহত্যার চেষ্টা চালায়। তানজিলা উপজেলার চরকালেখান আদর্শ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তানজিলার পরিবারের সদস্যরা জানান ২০১৯ সালের ৭মার্চ বাটামারা ইউনিয়নের চরবাটামারা গ্রামের এইচএম এরশাদ হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেনের সাথে তানাজিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তানজিলা স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকতো। গত ৮ জানুয়ারি সাব্বির হোসেন তার স্ত্রী তানজিলাকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তানজিলার পিতার বাড়িতে উঠায়। গত ১০ জানুয়ারি সাব্বির বাটামারা ইউনিয়ন কাজি অফিসের মাধ্যমে একটি তালাকের নোটিশ পাঠায়। ওই নোটিশটি বৃহস্পতিবার তানজিলার হাতে পৌঁছলে বিষয়টি নিয়ে সে সাব্বিরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু সাব্বিরের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সে কোনো কথা বলতে পারেনি। শনিবার সকালে তানজিলা সোনামদ্দিন বন্দর থেকে হারপিক কিনে এবং বাসায় গিয়ে পান করে আতœহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে বাটামারা ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজি মাকসুদুর রহমান জানান সাব্বির হোসেন স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন যা রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে তানজিলার কাছে পাঠানো হয়েছে।