বড়াইগ্রামের চরগোবিন্দপুর চরপাড়া গ্রামে ব্রিজ নির্মাণের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ লোকের চাওয়াকে উপেক্ষা করে খালের শেষ মাথায় ব্রিজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এদিকে, পূর্ব নির্ধারিত স্থানে ব্রিজ নির্মাণের দাবীতে গ্রামের লোকজন ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
জানা যায়, চরগোবিন্দপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে বহমান বিল সাপুড়িয়া খালে ব্রিজ না থাকায় স্থানীয়রা দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে গ্রামের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া, মুসুল্লীরা মসজিদে যাওয়া ও কবরস্থানে লাশ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খালে ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদের সামনে খালে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য লিখিত আবেদন করেন। সম্প্রতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগ চরগোবিন্দপুর মসজিদের সামনে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু গ্রামের কিছু লোকজন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে খালের শেষ মাথায় রফিক মাষ্টারের বাড়ির সামনে ব্রিজটি স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ হলে গ্রামের লোকজনের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চরগোবিন্দপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, মসজিদের সামনে ব্রিজটি হলে গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষ উপকৃত হবে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন লোক প্রভাব খাটিয়ে এটি খালের শেষ মাথায় বসানোর চেষ্টা করছে। এটা করা হলে টাকাগুলোই শুধু গচ্ছা যাবে। জনগণের কোন কাজে লাগবে না।
চর গোবিন্দপুর কবরস্থান কমিটির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, খালে কোন ব্রিজ না থাকায় লাশ বহনে যে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা বলে বোঝানো যাবে না। গ্রামের এক কোণায় নয়, বরং আগের নির্ধারিত স্থানে ব্রিজটি বসালে গ্রামের লোকজন বেশি উপকৃত হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, সেখানে স্থান নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে, বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি।