ঝালকাঠি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কৃষক লীগ নেতার দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চলিয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে মিলন বাহিনীর প্রধান সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে একদল যুবক মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। বুধবার সকাল ১০টায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার পিপলিতা গ্রামের রেহেনা বেগম এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে রেহেনা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. ইব্রাহিম নামে এক যুবক। সৈয়দ মিলন চাঁদাবাজী ও অস্ত্র মামলাসহ চারটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকলেও পিপলিতা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম খান বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে রেহেনা বেগমের স্বামী আবদুল খালেক ডাকুয়া ও তাঁর মেয়ে সুমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, চাঁদা না দেওয়ায় সদর উপজেলার পিপলিতা বাজারে গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম খানের ভাড়াটে সন্ত্রাসী সৈয়দ মিলনের নেতৃত্বে একদল যুবক কৃষক লীগ নেতা খালেক ডাকুয়ার দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে খালেকের স্ত্রী রেহানা বেগম হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়। এমনকি তার সাথে থাকা স্বর্ণালংকারও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা কৃষকলীগ নেতার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টানা না দিলে বাজারে তাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামী করে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসীরা বাদী রেহেনা বেগম ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি হামলাকারীরা উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বিরুদ্ধে ঢাকায় অনষণ ও বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে হয়রানি করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।