নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন এক দম্পতিকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা কুসুম্বা ইউনিয়নের কির্তলী মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত বদের আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩৬) ও পুত্রবধূ কমলা বিবি (২৮)। তারা এখন মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কির্তলী গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুরঘাট ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ফিরোজ হোসেনের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে একই বিষয় নিয়ে শহিদুলের স্ত্রী সুলতানা বিবির সঙ্গে ফিরোজের স্ত্রী কমলা বিবির কথা কাটাকাটি হয়। জের ধরে এদিন দুপুরে শহিদুল ইসলামের ছেলে শরীফ হোসেনের নেতৃত্বে ৪-৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল হাঁসুয়া দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফিরোজকে জখম করে। স্বামীকে বাঁচাতে কমলা বিবি এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় শহিদুলের স্ত্রী সুলতানা বিবি (৫০) ও পুত্রবধূ রুমি খাতুনও (৩০) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চিকিৎসাধীন ফিরোজ হোসেন জানান, ‘আমি ভ্যান ও দিনমজুরের কাজ করে সংসার পরিচালনা করি। নিজস্ব জমিজমা না থাকায় খাস জমিতে ছোট্ট একটি বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। ভূমিহীন হওয়ায় পারিবারিক সকল কাজে বসতবাড়ি সংলগ্ন শহিদুল ইসলামের পুকুর ব্যবহার করতে হয়। পুকুরঘাট ব্যবহার নিয়ে শহিদুলের স্ত্রী সুলতানা বিবির সঙ্গে আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হত। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছে।’
আহত ফিরোজ হোসেন আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে শহিদুলের ছেলে শরীফ হোসেনের নেতৃত্বে সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন আমার ওপর হামলা করে। এ সময় তারা আমাকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।’
অন্যদিকে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সুলতানা বিবি দাবি করেন, ‘পুকুরঘাটের আশপাশে খোলা জায়গায় ফিরোজ পরিবারের সদস্যরা পায়খানা করে আসছিল। বারবার নিষেধ করা সত্বেও এ কাজ থেকে তারা বিরত হননি। একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।’
মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, ‘ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়েছি। এজাহার পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।