উপাচার্যের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতাসহ নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ’। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক সুমাইয়া তাহসিন হামিজা লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ্ যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ক্লাব গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অতিরিক্ত পাঠ্যক্রম চালু করেছেন। ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এগিয়ে চলছে। মেডিকেল সেন্টার, ডেন্টাল ইউনিট চালু করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এ- ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের অধীনে পিএইচডি, এমফিল প্রোগ্রামে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। সেশনজট নিরসনে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে, ঠিক তখনই একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজেদের দখলদারিত্ব ও নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত রাখার অভিপ্রায়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে যারা বাধার সৃষ্টি করে এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্যোগের বিরুদ্ধে এই পরিষদ সব সময় সোচ্চার থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতিকে ‘নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ’ সমর্থন করে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সদস্য সচিব মোঃ খালিদ হাসান রিয়েল বলেন, উপাচার্য গোটা দেশে একজন সুপরিচিত ব্যক্তি। তিনি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে অনেক সময় ব্যস্ত থাকেন। তবে উপাচার্য যেখানেই থাকেন না কেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে কিনা এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। উপাচার্য বন্ধের দিনেও ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকেন, অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেন। তিনি শরীরিকভাবে উপস্থিত না হলেও ভার্চুয়ালী কানেকটেড হয়ে যান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের সদস্য শরীফা আক্তার নিপা, লুবনা আক্তার প্রমুখ।