নওগাঁর পোরশা উপজেলার শতাধীক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী কোন শহীদ মিনার নেই। এ উপজেলায় কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্ারাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ১৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। ফলে ২১ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস এলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলাগাছ, বাঁশ, ইট ও টেবিল দিয়ে অস্থায়ী ভাবে তৈরী শহীদ মিনারে পালন করা হয় দিবসটি। এতে সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে মাতৃভাষা দিবসটি যথাযোগ্য মর্যদায় পালন করতে হয় এ বিষয়ে অজানাই থেকে যায়। শহীদ মিনার ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে মাতৃভাষা দিবস পালনের কোন তাৎপর্য্যই ফুটে ওঠে না। এতে শিক্ষার্থীরা একুশের চেতনা ও মূল্যবোধ থেকে উপেক্ষিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এ উপজেলার ৪টি কলেজের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ২টিতে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৬টির মধ্যে মাত্র ৪টিতে ও ২৬টি আলিম, ফাজিল ও দাখিল মাদ্রাসার মধ্যে ১টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। অপরদিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮৭টির একটিতে শহীদ মিনার নেই। মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলির মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে কড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয়, শিশা উচ্চ বিদ্যালয়, নিস্কিনপুর উচ্চবিদ্যালয় ও বড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে। মাদ্রাসা গুলির মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে শুধুমাত্র মেদা দাখিল মাদ্রাসায়। ৪টি কলেজের মধ্যে পোরশা সরকারী কলেজ ও গাঙ্গুরিয়া ডিগ্রী কলেজে রয়েছে শহীদ মিনার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক কবি শরিফুল ইসলাম বলেন, মাতৃভাষা দিবসটি পালন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে এ বিষয়ে জানাতে চাইলে অবশ্যই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা দরকার। শহীদ মিনার নির্মাণের ফলে ভবিষ্যত প্রজন্ম যেমন মাতৃভাষা সম্পর্কে জানবে তেমনী ভাবে তাদের কাছে দিবসটির গুরুত্ব বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন। এ সময় তিনি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান।