কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর শিল্প এলাকার গোল্ডেন ফার্মের মালিকানাধীন জমি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। চকরিয়া উপজেলাধীন ফুলছড়ি মৌজার দাগ নম্বর ১০২২/২, ১০৩২ এর ১.৩৯ একর জমি এ ফার্মের নামে খতিয়ানভুক্ত এবং সন সন ওই ফার্মের নামে সরকারি খাজনা আদায় করা হচ্ছে। ফার্মের মালিকরা দীর্ঘদিন যাবত এ জমিতে মৎস্য ও লবণ চাষ করে আসছেন। চলতি লবণ মৌসুমে সেখানে লবণ চাষ করার জন্য একটি অস্থায়ী বাসা তৈরি করা হয়। ২০/২৫ জন বর্গা চাষা নিয়োগের মাধ্যমে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। এদিকে একটি মহল ওই জমি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ ফার্মের মালিকদের হুমকি-ধমকি ও হাকাবকা করে আসছিল। তারা গত চার মাসে সেখানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসীমূলক অপতৎপরতার ঘটনা ঘটায়। সর্বশেষ চলতি মাসের প্রথমদিকে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ ফার্মের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মাধ্যমে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এবং লবণ চাষী মোশতাক আহমদকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় তারা তিনটি সেলু পানির পাম্প, ২ টি সোলার প্যানেল, বৈদ্যুতিক তার, মাছ ধরার ৬ টি ছোট ও বড় জালসহ আনুমানিক লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। তারা গোল্ডেন ফার্মের স্লুইস গেটের দরজা খুলে জোয়ারের পানি ঢুকিয়ে দিয়ে লবণ মাঠের আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। একই সাথে তারা পাহারা বাসা ভাঙচুর করতঃ আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। গুরুতর আহত মোস্তাক কে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বাঁশখালী ইউপির মিয়ার ঘোনার মৃত হাকিম আলীর পুত্র। সংঘটিত ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে। গোল্ডেন ফার্ম এর চেয়ারম্যান কামাল হুসাইন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এতে সুনির্দিষ্টভাবে ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হচ্ছে ইসলামপুরের মৃত ফজল করিমের পুত্র আক্তার আহমদ, মুখতার আহমদ, কক্সবাজার পৌরসভার পশ্চিম বাহারছড়ার মৃত কালু সিকদারের পুত্র নুরুল আলম মুন্সী, খুটাখালী ইউপির দক্ষিণ ফুলছড়ির মোক্তার আহমদের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, উত্তর নাপিত খালির সুলতান আহমদের পুত্র কামরুল হাসান সবুজ, মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র মোঃ ইউনুস, এহেসান, ইসলামপুর ইউপির বাঁশ কাটার জহিরুল ইসলাম, বাঁশ কাটা মাদ্রাসা পাড়ার মৃত আব্দু ছমদের পুত্র মাহমুদুল হক, দক্ষিণ ফুলছড়ির মোক্তার আহমদের পুত্র শাহাবুদ্দিন, মিনহাজ উদ্দিন, খুটাখালী পূর্ব পাড়ার মোক্তার আহমদের পুত্র আবদুস সালাম, মৃত কালু সিকদারের পুত্র নুরুল কবির, নুরুল আমিন ও নুরুচ্ছফা। এ ছাড়া ২০/২৫ জনকে এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ আসাদুজ্জামানকে।
অন্যদিকে মামলায় আসামি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কুচক্রী মহল বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী শাহজাহান জানান নুরুল আলমরা মিথ্যা অজুহাতে সৃজিত কাগজপত্র দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করছে।