বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪৯ বছরে রাজনীতিকে পূঁজি করে রাতারাতি হাজার-লক্ষ কোটি টাকার মালিক হয়েছে ছলাকলার শত-সহ¯্র রাজনীতিক-কালোমানুষ। আর সেটা শুরু হয় আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগে। অব্যহত আছে সেই ধারাবাহিকতা এখানো।
পুরুষ-নারী রাজনীতিকদের মধ্যে অনেকেই এখন নিজেদের আখের গুছিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন দুর্নীতির ভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছে মাদক- দেহ ব্যবসা-সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সহ অহরহ শত শত সমস্যায় আমাদের বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ আজ জাতির সামনে নেই, যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে আমাদের ভাষা আন্দোলন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। আর এই কারণে নতুন প্রজন্মের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-কর্মী হিসেবে বাংলাদেশকে ভালোবেসে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছি, বলে যাচ্ছি। সেই সুবাদে পাপিয়া প্রসঙ্গে কথা বলছি- এই সময়ে নরসিংদীর সদ্য বহিষ্কৃত জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। রাজনীতির আড়ালে অস্ত্র, মাদক ও দেহব্যবসা করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে তিনি। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোতে সুন্দরী তরুণী সরবরাহ, মাদক চোরাচালান, চাকরির তদবির, জবর-দখল, দেশ বিদেশে ক্যাসিনো ব্যবসা- এমন কোনো অভিযোগ নেই যা তার বিরুদ্ধে নেই। এবার জানা গেছে তার ধর্ম নিয়ে প্রতারণা ও কৌশল সম্পর্কে। এই পাপিয়া নিয়মিত শিবলিঙ্গ ও কালী পূজা করতেন। আবার খ্রিস্টান ধর্মের প্রতীক ক্রুসও ব্যবহার করতেন। কাবা শরিফের লোগোও নিজের কাছে রাখতেন। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর (রহ) নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে নিজের দেহে ট্যাটুও করিয়েছেন তিনি। ধারণা করছি- অবৈধভাবে অর্থ আয়ের জন্য প্রতিটি ধর্মের লোকদের বিশ্বাস স্থাপন করতে এটা তার কৌশল। এই নীতিহীনদের রাজনৈতিক উত্থান নরসিংদীতেই। সেখানেই সুমন ও পাপিয়া সংসার পাতেন। তবে একটা ঘটনার পর ঢাকায় আসেন তাঁরা। তারপর অনেক কিছুই ঘটতে থাকে। সুমন-পাপিয়া বিয়ে করেন ২০০৯ সালে। নরসিংদী শহরের ভাগদী এলাকার সাইফুল বারীর মেয়ে পাপিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার পর তাকে বিয়ে করেন সুমন। এ দম্পতি ২০১২ সালে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সেই হামলায় পাপিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে তারা ঢাকায় চলে এলে নরসিংদী থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এ সময় ঢাকা কেন্দ্রিক নেতাদের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ২০১৪ সালে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে আলোচনায় আসেন পাপিয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দুই ধারায় বিভক্ত নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বলয়ে যোগ দেন সুমন ও পাপিয়া। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য (এমপি) নজরুল ইসলামের পক্ষে চলতে থাকে তাদের ব্যাপক সমর্থনের প্রদর্শনী। কিছুদিনের মধ্যে তারা নরসিংদীতে গড়ে তোলেন ক্যাডার বাহিনী কিউঅ্যান্ডসি। বাহিনীর প্রত্যেকের হাতে রয়েছে কিউঅ্যান্ডসির ট্যাটু। বাহিনীর সদস্যদের মোটরসাইকেল রক্ষণাবেক্ষণ ও তাদের নিয়মিত আড্ডার জন্য ‘কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন’ শীর্ষক প্রতিষ্ঠান খোলেন পাপিয়া। তবে আগে থেকেই নরসিংদী সরকারি কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ান সুমন। রাজনীতির পাশাপাশি শুরু হয় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তা ছাড়া অস্ত্র চালনার নেশা থেকে শ্যুটিং কোর্স করেন তিনি। ২০০১ সালে নরসিংদী পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়াকে যাত্রা প্যান্ডেলে গিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে একসময় তিনি নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। সেই অন্যায়ের রাঘব বোয়ালযাত্রা শুরু। এরপর দেখতে দেখতে গত ৭৬ বছরে রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে অনৈতিক কাজের মধ্য দিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক হন। নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া চৌধুরী ও তার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন ওরফে মতি সুমন এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। ভালো কোনো কাজের জন্য নয়, অপরাধের জন্য তারা আলোচনায়। রাজনীতির আড়ালে অস্ত্র, মাদক ও দেহব্যবসা করে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছে এই দম্পতি। রাজধানীর ফার্মগেটে ইন্দিরা রোডে তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় বাইজি সর্দারনী বেশে পাপিয়ার ভিডিও। ইতিমধ্যে তার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কথা বের হতে শুরু করছে। মুখ খুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, পতিতা ব্যবসার পাশাপাশি ব্ল্যাকমেইল করে পাপিয়া ও তার স্বামী গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। অনৈতিক কার্যকলাপের ভিডিও ধারণ করে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তারা। অপরাধে জড়িয়ে পড়া যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে ইতিমধ্যে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
কিন্তু এই নেত্রী যখন দিনের পর দিন নিজের অন্যায়ে উপার্জনকৃত অর্থ দিয়ে আওয়ামী যুযব মহিলা লীগকেল,ম লীগ নেতাকর্মীদেরকে খুশি করেছে, পুলিশ-প্রশাসন লালন পালন করেছে, তখন সবাই আরামই পেয়েছে। যখন মনে হয়েছে- পাপিয়ার মত শত শত তৈরি আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-মহিলা লীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনে নির্মমতায় মেতেছে তখন। অথচ এই মহিলা লোভি-লম্পটগীরীর মধ্য দিয়ে আরো ৭ বছর আগে থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী নারীদের দেহব্যবসায় বাধ্য করতেন শামীমা নূর পাপিয়া। আর অনৈতিক কর্মের ভিডিও ধারণ করে ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন। এ দুই উপায়ে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অস্ত্র ও মাদক মজুদের পাশাপাশি কিউঅ্যান্ডসি নামে ক্যাডার বাহিনীও গঠন করেছেন। পুলিশের এসআই ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদে মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন। শুধু তাই নয়, জমির দালালি, সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স দেয়া, গ্যাসলাইন সংযোগের নামেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ রেখেছেন এই দম্পতি। প্রাথমিক তদন্তে ফার্মগেটে পাপিয়ার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, নরসিংদী শহরে দুটি ফ্ল্যাট, ২ কোটি টাকা মূল্যের দুটি প্লট, চারটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং গাড়ি ব্যবসায় প্রায় দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত থাকার কথা জানা গেছে। পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন চৌধুরী রেলওয়ে ও পুলিশে চাকরির প্রলোভনে ১১ লাখ টাকা, একটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা, একটি সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স করে দেয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন তারা। পাপিয়ার আয়ের অন্যতম উৎস নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করানো। ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে কম বয়সী মেয়েদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করতেন তিনি। যাদের অধিকাংশকে নরসিংদী এলাকা থেকে চাকরির প্রলোভনে ঢাকায় আনা হয়েছিল। অনৈতিক কাজে বাধ্য না হলে তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা হতো। এখন এসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রসিয়ে রসিয়ে বলা হচ্ছে- যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। এর আড়ালে জাল মুদ্রা সরবরাহ, বিদেশে অর্থপাচার এবং অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসব অভিযোগের অনুসন্ধান করছিল র্যাবের একটি দল। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শনিবার সকালে তড়িঘড়ি করে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন পাপিয়া। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সহযোগীসহ গ্রেফতার হন তিনি। গাড়ির ব্যবসার আড়ালে তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত। সমাজসেবার নামে তিনি নরসিংদীর অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে আসছিলেন। তিনি গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে বুক করে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন। পাপিয়ার স্বামীর থাইল্যান্ডে বারের ব্যবসা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র-মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন। তিনি স্ত্রীর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারীদের অনৈতিক কাজে ব্যবহার করেন।
অথচ পুলিশের নাকের ডগায় বসে, র্যাবের চোখের পাতায় বসে ২০০১ সালের দিকে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমনের উত্থান শুরু হয়। শৈশব থেকেই চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ব্ল্যাকমেইল ছিল সুমনের প্রধান পেশা। চতুর সুমন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। ২০০১ সালে পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়াকে যাত্রা প্যান্ডেলে গিয়ে হত্যার পর তিনি আলোচনায় আসেন। এরই মধ্যে পাপিয়া চৌধুরীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর তিনি স্ত্রী পাপিয়াকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করান। ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে তৌহিদা সরকার রুনা সভাপতি ও পাপিয়া সাধারণ সম্পাদক হন।
২০২০ সালে এসে যখন এরা রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে অপরাধের রাজত্ব তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে, তখন কাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে শামীমা নূর পাপিয়া ফুলেফেঁপে উঠেছেন তাদের তালিকা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত এ নেত্রীর আস্তানায় যাতায়াতকারীদেরও তালিকা হচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয়; অন্তত ২ সহ¯্রাধিক নারীর মধ্য থেকে মাত্র ১ জনকে গ্রেফতার করতেই জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া যাদের নাম বলেছেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে, কাজ শুরু হয়েছে। পাপিয়ার দেয়া তথ্য এবং মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও এসএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাপিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এবং লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর কয়েকজনের ওপর নজরদারি চলছে। এদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতানেত্রী রয়েছেন। ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থাকা এক কর্মকর্তার নামও রয়েছে ওই তালিকায়। নানা পর্যায়ে পাপিয়াকে সহায়তা করা সরকারি কর্মকর্তারাও আসছেন তালিকায়। সিগন্যাল মিললেই তাদের ডেকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে গণমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে কারা এতদিন লালন পালন করেছে? কারা পাপিয়াদের প্রভু? তা কি জানে না আমাদের ইন্টিলিজেন্ট বাহিনী? জানে, কিন্তু তারা বলতে পারবে না; তথ্য দিতে পারবে না। কেননা, এই শ্বাপদের দখলে এখন, দখল করেছে এদেশ বিষাক্ত কিটরা। তা না হলে প্রতিরাতে ক্যাসিনো কিভাবে বেেস বনানী গুলশানে? কিভাবে বারবার জন্ম হয় স¤্রাট-পাপিয়াদের?
একটি কথা স্বচ্ছতার সাথে বলে দিচ্ছি- পাপিয়ার ক্লায়েন্ট কারা ছিলো, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যেভাবে বের করা সম্ভব; সেভাবে বাংলাদেশকে কালো লোভি মানুষ স¤্রাট-পাপিয়াদের মত অবিরত জন্ম নেয়া অপরাধীদেরকেও প্রতিহত করার সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন মন্ত্রী-এমপি-সচিব-উপসচিব-ডিসি-এসপি থেকে শুরু করে সকল স্তরের কর্তা ব্যক্তিদের ১০০% না হোক অন্তত ৮৭% ধর্মভীরু, দেশপ্রেমি হওয়া...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি