সম্প্রতি প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা শিউলী খাতুন (১৬) নামের এক ভারতীয় তরুণীকে উদ্ধার করে বিএসএফ'র কাছে ফেরৎ দিয়েছে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
সোমবার (০২ মার্চ) বিকালে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শিউলীকে ফেরৎ দেয়া হয়।
এ সময়, বাংলাদেশের পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার মো. জহিরুল ইসলাম ও ভারতের পক্ষে ৩৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুর্শাহাট কোম্পানি কমান্ডার এসআই যতীন্দ্র নাথ উপস্থিত ছিলেন।
শিউলী খাতুন ভারতের কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার পুর্ব সরাইখানা গ্রামের সবেদ আলীর কণ্যা।
জানা গেছে, সীমান্তের কাটাতারের বেড়ার বাইরে বাড়ী হওয়ায় প্রায়শই ভারত থেকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নানার বাড়ীতে বেড়াতে আসত শিউলী। এর মধ্যে, তার আপণ খালাত ভাই মো. রুবেল মিয়ার (২১) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই তরুণীর। সেই প্রেমের টানেই গত ২৯ ফেব্রুয়ারী সকালে রুবেলের সাথে ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসে শিউলী। এরপর থেকে তাদের কোন খোঁজ-খঁবর পাওয়া যাচ্ছিলো না।
এদিকে, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বিএসএফথর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শিউলীর পিতা সবেদ আলী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএসএফ ০১ মার্চ সকালে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ফেরৎ দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্পে একটি পত্র পাঠায়।
পরে, ওই পত্রের ভিত্তিতে তরুণীকে উদ্ধারে প্রেমিক রুবেল মিয়ার বাড়ীতে তল্লাশী চালায় কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। কিন্তু সেখানে তাকে না পাওয়ায়; স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা কামনা করে বিজিবি। এরপর, ০২ মার্চ দুপুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী গঙ্গারহাট গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনের বাড়ী থেকে শিউলীকে উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা।
এ বিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মন্ডল জানান, ভারতীয় ওই তরুণীর বাড়ী কাটাতারের বেড়ার বাহিরে হওয়ায় প্রায়শই সে বাংলাদেশে তার নানার বাড়ীতে আসত। এতেকরে রুবেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় সে বাংলাদেশে চলে আসে।
পরে, তাকে উদ্ধার করে বিজিবির মাধ্যমে বিএসএফথর কাছে ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তৌহিদ উল আলম বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন।