নীলফামারীর ডোমার সাব-রেজিষ্টার শিরিন আকতাররের বদলীর দাবীতে গত দুই দিন ধরে দলিল লেখকদের কলম বিরতি চলছে। গত সোমবার সকালে সাব-রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়, দলিল লেখক ও জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে খারাপ আচরনসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ডোমার সাব-রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখকবৃন্দের ব্যানারে এ কলম বিরতি শুরু হয়। মঙ্গলবার বিকাল তিন টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। এতে জমির দলিল রেজিষ্ট্রি বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে জমি ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি নাজমুল একরাম সুমন বলেন, সাব-রেজিষ্টার শিরিন আকতার নকল রবিশ সুশিল রায়ের মাধ্যমে দলিল প্রতি ১৫ শত টাকা করে অতিরিক্ত ফি আদায় করে। জমি রেজিষ্ট্রির সময় অতিরিক্ত টাকা না দিলে সাব-রেজিষ্টার দলিল ছুড়ে ফেলে এজলাস থেকে উঠে যায়। অধিকাংশ সময় দলিল লেখক ও দলিল দাতা ও গ্রহীতাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
দলিল লেখক গোলাম মোস্তফা, পুষ্পজীত রায়, মাহফুজ আলম বলেন, সাব-রেজিষ্টার কর্মস্থলে না থেকে নীলফামারীতে অবস্থান করে। সেখান থেকে অফিসে অধিকাংশ দিনে তিনি দুপুরে আসেন। এতে কয়েকটি দলিল রেজিষ্ট্রি করেই, আবার নীলফামারী ফিরে যান। এতে সাধারন জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জমি রেজিষ্ট্রি করতে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। প্রতিবাদ করলেই সাব-রেজিষ্টারের সকল কাজের নিয়ন্ত্রক সুশিলের হাতে নাজেহাল হতে হয়।
দলিল লেখক তমিজার রহমান, আবদুল মজিদ, দুলাল হোসেন বলেন, নকল নবিশ সুশিলের মাধ্যমে সাব-রেজিষ্টারের অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা প্রতি মাসে নিয়মিত অনেক বড় কর্মকর্তাদের কাছে মাসোয়ারা হিসেবে পৌছে যায়। এতে তিনি অপকর্ম করেও প্রতিনিয়ত বহাল তবিয়তে থাকেন।
সাব-রেজিষ্টার শিরিন আকতারের বদলী না হওয়া পর্যন্ত কমল বিরতি অব্যাহত ও আরো কঠির কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে আন্দোলনকারীরা হুশিয়ারী দেন।
ডোমার সাব-রেজিষ্টার শিরিন আকতার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি সকল নিয়ম মেনে কাজ করছি। কর্মস্থলে না থাকলেও সঠিক সময়ে অফিসে আসার চেষ্টা করি। তিনি বলেন, তিন শত টাকা উন্নয়ন ফি আমার কর্মচারীরা দলিল প্রতি নেয়। যা তাদের উন্নয়নেই খরচ হয়।
এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) শাহ আলম জানান, সাব-রেজিষ্টার সঠিকভাবেই কাজ করে বলে আমি জানি। অনেকে সুবিধা করতে না পেরে অযৌতিক আন্দোলন করছে।