ভারতে মুসলমানদের ওপর বর্বর নির্যাতন, গণহত্যা, ঘর-বাড়ি, মসজিদণ্ডমাদ্রাসা ও পবিত্র কুরআন শরীফে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে। বরিশালের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েক ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
নগরীর বাজার রোডের জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন চিশতী মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সভায় বক্তরা বলেন, মুসলিম হত্যাকারী সন্ত্রাসী গুজরাটের কসাই মোদিকে বাংলার মাটিতে সংবর্ধনা দেয়া হলে এদেশের ওলামা মাশায়েক ও তৌহিদী জনতা মুসলিম সমাজ বুকের রক্ত দিয়ে মোদির আগমন প্রতিহত করবে। তারা আরও বলেন, দেশের মুসলিম সমাজ যদি একবার জেগে উঠে তাহলে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছেন তারা কিন্তু মুসলমাদের প্রতিহত করতে পারবেন না। তাই মোদিকে সংবর্ধনা দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি বক্তারা আহবান করেন। পাশাপাশি জাতীয় সংসদে এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রস্তাব পাশ করার আহবান করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ওবাইদুর রহমান, মহানগর ইমাম সমিতি সভাপতি কাজী আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সামসুল আলম, মুফতী সাব্বির আহম্মেদ, মাওলানা আহম্মদ আলী কাসেমী, মাওলানা রুহুল আমীন, রফিকুল ইসলাম, আবদুল খালেক পীর সাহেব হরিণাফুলিয়া, তৌফিকুল ইসলাম, মুফতী ওমর বিন নূরুল্লাহ, আবদুর রব প্রমুখ। পরে ভারতে নিহত মুসলমানদের আত্মার শান্তি কামনাসহ সারাবিশে^র মুসলীম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
এরপূর্বে নগরীর বিভিন্নস্থানের মসজিদ ও মাদরাসা থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মোদর কুশপুতুল, ফেস্টুন, ব্যানার ও প্লেকার্ড বহন করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থল টাউন হল এলাকায় জড়ো হন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সদররোডে মোদির কুশপুতুলে অগ্নিসংযোগ করে। পরে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।