রক্ত, লাশ, আগুন, গুলি, হামলা, আতঙ্ক, রড-লাঠি দিয়ে পেটানো, মসজিদ ভাঙা ছাড়াও প্রায় চার হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর, দোকান জ্বালিয়ে দেয়া! এটুকুই শেষ নয়! প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে মুসলমানদের। লাশ পাওয়া যাচ্ছে দিল্লির খাল, নালা-নর্দমায়। মারাত্মক আহতরা এখনো হাসপাতালে মারা যাচ্ছেন। পুলিশ সাধারণ মানুষের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞেস করে করে পথ চলতে দিচ্ছে। গণমাধ্যমসূত্রে বিশ্ববাসী দেখেছে- এক দিকে পুলিশ অলস দাঁড়িয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে, অন্য দিকে দিল্লিজুড়ে মুসলমানদের বাড়ি-ঘরে চলছে লুটপাট আর অগ্নিসংযোগ। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন নিরীহ মুসলমানকে হাসপাতালে কাতরানো অবস্থায় পাওয়া গেছে, যারা তখনো বেঁচে ছিলেন কিন্তু তাদের চোখ ‘এসিড’ ঢেলে গলিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি হচ্ছে ভারতের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের পরিচালিত একটি সর্বাত্মক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। উগ্র সাম্প্রদায়িক মুসলিমবিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহর হাতে ভারতের মুসলমানদের ভবিষ্যৎ মারাত্মকভাবে আশঙ্কার সম্মুখীনÑ এটাই দিনে দিনে প্রতীয়মাণ হচ্ছে।
দিল্লির এই ম্যাসাকার কোনো দাঙ্গা ছিল না। এটা ছিল একপক্ষীয়ভাবে মুসলমানদের ওপর হত্যা ও নির্যাতন করে জিঘাংসা চরিতার্থ করা। দিল্লিতে কোনও অবস্থাতেই কোনও দাঙ্গা হয়নি। যেটা হয়েছে একচেটিয়া রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাস ও গণহত্যা। এই গণহত্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে যেভাবে রাষ্ট্রশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ অনেককে পাশে নিয়ে সংগঠিত করেছিলেন। ঠিক সেই আদলেই খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে আজকে নামিয়ে এনেছেন ভয়াবহ গণহত্যার এক বীভৎস প্রতিচ্ছবি। সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা, কাজে বাধা প্রদান, ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নেয়ার মত নজিরবিহীন ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে উগ্র হিন্দুবাদীরা। সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করতে পড়নের প্যান্ট খুলে ‘জাত যাচাই’য়ের প্রচেষ্টাও চালায় তারা।
প্রায় তিন মাসঅবধি ভারতজুড়ে বিজেপির ইউনিয়ন সরকারের করা জাতিবিভেদকর, বিতর্কিত ও বিপজ্জনক সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) ও আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনসের (এনআরসি) বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। দিল্লির এ সহিংসতার পেছনে বিজেপি নেতাদের লাগাম ছাড়া উস্কানিমূলক বক্তব্য যে আগুনে ঘি ঢেলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। রাজধানী শহর দিল্লিতে যে ভয়াবহ দাঙ্গা চলছে, তা যেমনি ভয়ঙ্কর তেমনি কোনো বিবেচনায়ই সভ্য জগতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজেপি নেতারা ঘোষণা করেন, তারা প্রতিবাদকারীদের লাগাতার অবস্থান নেয়া ‘স্ট্রিট ক্লিয়ার’ করার অভিযানে নামবে, সরিয়ে দেবে সব প্রতিবাদকারীকে। আর সাথে সাথেই শুরু হয় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে অভাবনীয় মাত্রার ভয়াবহ হিংসাত্মক সহিংসতা। বিজেপি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে ধর্মীয় দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিজেপি সমর্থিত সন্ত্রাসীরা বেছে বেছে মুসলিমদের টার্গেট করে নৃশংস হত্যাসহ বিপুল সম্পদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজনীতির নামে ধর্মীয় বিভাজন ও সাম্প্রদায়িকতাকে নিজ রাষ্ট্রের নাগরিকদের মাঝেই ভয়ঙ্করভাবে উস্কে দিয়েছেন। দিল্লির ঘটনা তার একটি উদাহরণ মাত্র। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে পক্ষে-বিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা বলে মনে হলেও, সেটি ছিলো পুরোদস্তুর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। নাগরিকত্ব আইন ছিল শুধুই একটা ছুতো। যাতে রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুর, গোকুলপুর, কারওয়ালনগর, ভজনপুরা, চাঁন্দবাগ, সেলিমপুর, জাফরাবাদ ও অন্যান্য এলাকা পরিণত হয় এক মৃত্যুপুরীতে। এখন পর্যন্ত দিল্লিতে হিংসার জেরে মৃতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিকের খবর হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী বলে জানা যায়। বিবিসির ভিডিও রিপোর্টে দেখা গেছে, রোগী বহনরত অ্যাম্বুলেন্সের উপরও হামলা করা হচ্ছে।
নিজেদের হাতে আইন তুলে নেয়া আর পুলিশের উপস্থিতিতে হুমকি স্পষ্টতই বিজিপি নেতাদের একটি ক্রিমিনাল অফেন্স। সাবেক বিধায়ক কপিল মিশ্র ঘোষণা দেন, পুলিশ অবরোধ না তুললে সে দায়িত্ব তারা নিজেরাই হাতে তুলে নেবেন। এই হুমকির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। বিচারপতিরা দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে কপিল মিশ্রের এই হুমকির ভিডিও ক্লিপিং আদালত কক্ষে সলিসিটর জেনারেলকে দেখানোর নির্দেশ দেন। হিংসায় ইন্ধন জোগাতে উস্কানিমূলক ভাষণ দেয়ার পরও বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কেনো মামলা নেয়নি, সেজন্য বিচারপতিরা পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। এক বিচারপতি বলেন, ‘চোখের সামনে আরেকটা ১৯৮৪ হতে দেয়া যায় না।’ এখানে লক্ষ্যণীয় আদালত বলেছেন ‘১৯৮৪ সালের দাঙ্গা’। মানে ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-পরবর্তী হিন্দু-শিখ দাঙ্গার রেফারেন্স দিচ্ছেন আদালত। মানে কংগ্রেস শাসনকাল। অথচ দাঙ্গা হয়েছে বিজেপি শাসনকালের গুজরাট মডেলে। তারপরও এটি সহ্য হয়নি বিজেপি সরকারের।
এছাড়া স্থানীয় হাসপাতাল থেকে এক মুসলমান রোগীকে চিকিৎসার প্রয়োজনে বড় হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পুলিশ প্রটেকশনের অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে দরখাস্ত দেয়া হলেও পুলিশ তাতে সাড়া দেয়নি। রোগীর স্বজনরা দিল্লি রাজ্য-হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সাথে যোগাযোগ করলে বিচারক তৎক্ষণাৎ পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আদেশ দেন। মামলার শুনানির সময় সহিংসতায় ঘরছাড়া মানুষের জন্য উপযুক্ত আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত। বিজেপির নেতাদের চোখে বিচারপতির নৈতিক অবস্থানও একটি অপরাধ। অসুস্থ ব্যক্তি মুসলমান হন আর না হন, চিকিৎসাকাজে সহায়তা পাওয়া তার নাগরিক অধিকার। অথচ তার প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে, মূলত মুসলমান বলে। একজন বিচারপতি এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক আদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি এ নির্দেশ দেয়ার সময় হয়তো একবারের জন্যও ভাবেননি, পরদিন সরকারের পক্ষ থেকে তার জন্য কী অপেক্ষা করছে। আর এ জন্য ওই বিচারপতিকে বদলি করে তৎক্ষণাৎ কার্যকর করতে নির্দেশ জারি করা হয়।
মুসলমানদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা নির্যাতন আর তাদের বাড়িঘর, সম্পত্তি লুটপাট ও জ্বালিয়ে দেয়ার তা-ব চালাতে গিয়ে যে পরিমাণ উপাদান বা অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখে এক পুলিশ অফিসার মন্তব্য করেছেন, এগুলো সংগ্রহ করতে কমপক্ষে দু’সপ্তাহের প্রস্তুতি লাগার কথা। অর্থাৎ এটা একটা পরিকল্পিত হামলা। মার্কিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক কমিশন অভিযোগ করেছে, ‘বেছে বেছে মুসলিমদের নিশানা করে হামলা চালানো হচ্ছে। অথচ সব দেখেশুনেও নীরব সরকার। নৃশংস ও লাগামছাড়া সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’ মার্কিন এ সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে দিল্লির বর্তমান বাস্তবতারই প্রতিফলন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দিল্লির সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য (হেট স্পিচ) প্রচারের নিন্দা করে এগুলোর তদন্ত ও বিচার করার আহ্বান জানিয়েছে।
দিল্লির প্রতিটি মৃত্যু, আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ, ধ্বংসলীলা, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতেই করেছে। সাইকেল, মোটরবাইক, প্রাইভেট কার থেকে আরোহীদের নামিয়ে বুকের ওপর পিস্তল ঠেকিয়ে ধর্ম পরিচয় জানতে চেয়েছে। মসজিদের মিনার চূড়ায় জয়-শ্রিরামখচিত পতাকা লাগিয়ে বিজয়ের হাসি হেসেছে। এরূপ পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লি পুলিশকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে, সন্ত্রাসীদের এরূপ আচরণের চাক্ষুষ কোনো প্রমাণ যাতে না থাকে সে চেষ্টাও পুলিশ করেছে। দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা নিজ উদ্যোগে রাস্তায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লি যে ব্যর্থ সে কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দিল্লিতে এত মানুষের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র মন্তব্য করেছেন, বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সংযত আচরণ করা উচিত।
এই মোদি-অমিত জুটিই ২০০২ সালে গুজরাটে রাজ্য সরকারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রায় ২০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়। তখন খোদ ভারতের বহু পত্রিকাই লিড শিরোনাম করেছিলো, ‘দিল্লির গণ-নৃশংসতার টার্গেট মুসলমানেরা’। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তখন বিশ্বমিডিয়া ‘গুজরাটের কসাই’ নাম দিয়েছিল। আজকের দিল্লি দাঙ্গার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই নরেন্দ্র মোদি। আর গুজরাট দাঙ্গার সময়ে সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দাঙ্গার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিবিসি বাংলার দিল্লির সংবাদদাতা শুভজ্যোতিকে মাঝবয়সী এক নারী বলেন, কোথা থেকে হঠাৎ করে জয় শ্রিরাম হুঙ্কার দিয়ে শত শত ‘গু-া’ মুসলিমদের বাড়িতে হামলা চালায়। ‘তারা চিৎকার করছিল, মুসলমানদের খতম করে দেবো। বাঁচতে দেবো না। তারা বলছিল পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারবে না।’
ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। সেখানে সাম্প্রদায়িকতা দানা বাঁধলে বাংলাদেশও উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত, যারা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করে, সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা দুর্ভাগ্যজনক। ধর্মের বাণী হলো অহিংসা, রক্তপাত, জীবন ক্ষয় না করা। তাই ভারতের মানবতাবাদী জনগোষ্ঠীকে যে কোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিকে রুখতে হবে। নইলে শুধু মুসলমানদের জীবনীপাতই ঘটবে না। দাদাভাই নওরোজি, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদার ভারতের সব ঐতিহ্য মুখ থুবড়ে পড়বে।
মোদি-অমিত শাহ জুটি এই ধরনের দাঙ্গা এবং ঘৃণার রাজনীতির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে তাদের ভোট ব্যাংকের সুবিধার জন্য। বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে এরা তাদের ঘৃণার রাজনীতির ফাঁদে ফেলতে চাচ্ছে। এখানে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটাতে পারলে তাকে পুঁজি করে তাদের মুসলিম নির্যাতন ও নিধনের বৈধতা দেওয়া যাবে। রোহিঙ্গা ইস্যু, বর্ডার কিলিং, তিস্তাসহ যাবতীয় দিক বিবেচনা করলে ভারত বন্ধুর মুখোশ পরে আমাদের সাথে শত্রুর মতই ব্যবহার করছে।
আগুনের এই হোলিখেলা, হত্যা ও ধংসোন্মাদনা ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর জন্য এক অবিচ্ছেদ্য উপাদান হয়ে আছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, হিন্দুত্ববাদীরা ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় শক্তিধর হয়ে উঠেছে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর। বিজেপি সরকার মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বরাবরই উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে এসেছে। এতদিন বিজেপি নেতাদের মুখে তথাকথিত অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের দেশছাড়া করার কথা শোনা যেত। কিন্তু দিল্লির এ ঘটনায় ভারতের প্রকৃত মুসলিম নাগরিকদেরই টার্গেট করা হচ্ছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতে মুসলমান সম্প্রদায় সহিংসতার শিকারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের মুসলমানদেরই পীড়িত, ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন করবে।