নেত্রকোণার পূর্বধলায় এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীসহ ৬টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (১ মার্চ) উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামে।
জালশুকা গ্রামের রজব আলীর পুত্র বিপ্লব, রতন, মানিক, টিপু ইসলাম উদ্দিনের ছেলে রনি, হেলাল মিয়ার ছেলে পাভেল, গিয়াসউদ্দিনের ছেলে জুয়েল, রাসেল, নিপেন্দ্র সূত্রধরের ছেলে হৃদয় সূত্রধর, আবদুর রশিদের ছেলে রাসেলসহ ১০/১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হেকিম, হাবিল মিয়া, সোলেমান, ইউনুছ আলীসহ ৬টি বাড়ী ভাংচুর করে মহিলাদের মারপিট করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ ঘটনায় নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয় সেই সাথে আনুমানিক প্রায় ১৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ মর্মে পূর্বধলা থানায় সোমবার (২ মার্চ) একটি মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে জালশুকা গ্রামের কাদিরের ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিপ্লবসহ অন্যান্যের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ মীমাংশা করে দেয়। এরই জের ধরে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা, শাবল, হকিষ্টিক, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবদুল কাদিরের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় দৌড়ে পালাতে গিয়ে আগুনে পড়ে গিয়ে একটি শিশুর ডান হাত পুড়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুল ও মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার নিজাম উদ্দিন বুধবার (৪ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ বিপ্লব জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য নিজেরা বাড়িঘর ভেঙে এরকম মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, মহিষবেড় গ্রামের বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় গত সোমবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।