কুড়িগ্রামের চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে পানির নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে যাত্রী পারাপার ও মালামাল পরিবহনে বিঘœ ঘটছে। চিলমারী উপজেলার রমনা ঘাট থেকে রৌমারী, রাজিবপুর, বাহাদুরাবাঁধ, অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ এলাকায় ব্র্র্রহ্মপুত্র নদে বিভিন্ন স্থানে ডুবো চর জেগে ওঠায় শ্যালো ইঞ্জিচালিত নৌকা আটকে যাচ্ছে। ফলে যাতায়াতের সময় ৩/৪ গুন বেশি লাগছে।ভারতের আসাম রাজ্য থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চিলমারী নৌবন্দর দিয়ে কলকাতা যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ায় তাদেরকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা নদী বিছিন্ন ৩টি ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সময় মতো বিদ্যালয়ে যেতে না পাড়ায় ওই সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থা মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং ওই ইউনিয়নের ক্লাশাটার অফিসারেরা টাকার বিনিময়ে ছাড় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নদের নাব্যতা হ্রাসে নৌ চলাচলে বিঘœ ঘটায় অফিস আদালত, অসুস্থ রোগীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গা যেতে তাদেরকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান যমুনা ও মেঘনা তেল ডিপোতে তেল ভর্তি জাহাজ আসতে না পারায় কৃষকদেরকে চড়া দামে তেল কিনতে হচ্ছে। চিলমারী নৌ বন্দর ঘাটের ইজারাদার লিপু মিয়া জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি হ্রাস পেয়ে বিভিন্ন স্থানে ডুবো চর জেগে ওঠায় ড্রেজিং না করার কারণে বিভিন্ন নৌযান আটকা পরায় যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে ভীষন অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।