কুমিল্লার হোমনায় ইউএনওকে হুমকি দেওয়া, অসদাচরণ ও হোমনায় সংগঠিত সকল অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা এবং সাংবাদিক সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বুধবার বেলা বারোটায় দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত ৪ মার্চ স্থানীয় হকার্স লীগের মুজিববর্ষের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে ইউএনও তাপ্তি চাকমার বিরুদ্ধে হকার্স লীগ, ছাত্রলীগ. যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভা, মিছিল ও সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিকুর রহমান আবুল, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম প্রধান, সাবেক প্যানেল মেয়র মানিক মিয়া ইমন, যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিপু, শ্রমিক লীগ নেতা সালাহ উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. মোশারফ হোসেনসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, হকার্সলীগ ও মৎসজীবিলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে নব্য ও হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের অন্যায়, অত্যাচার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার দখল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল, ঘুষ-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক একেএম সিদ্দিকুর রহমান আবুল।
ইউএনওকে নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা সম্পর্কে ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, আমি জানতাম মুজিববর্ষের সভা হবে। আমাকে নিয়ে তাদের প্রতিবাদ সভা সম্পর্কে আমি জানতাম না। যখন তাদের সভা হচ্ছিল তখন আমি দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তা জানতে পাই, আমাকে নিয়ে প্রতিবাদ সভা করছে। আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। কোনো রাজনৈতি ব্যানারে অনুমতি না নিয়ে আমার নাম ব্যবহার করা সমীচীন হয়নি। বিষয়টি আমার জন্য অনাকাঙ্খিত ও বিব্রতকর।