হঠাৎ করেই যেন পাল্টে গেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরের দৃশ্যপট। ব্যক্তি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু হয়েছে পৌর শহর। চারদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক বাড়ছে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, জনসমাগম আগের মতো নেই, গণপরিবহনে নেই আগের মতো চাপ, মার্কেটগুলো বন্ধ দেখা গেছে। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা, খাবার হোটেলগুলো শুধু বন্ধের অপেক্ষায়। ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানে শুধু ক্রেতা। তাও আবার আগের তুলনায় কম। বেড়ে গেছে কিছু কিছু জিসিনপত্রের দাম। খুব প্রয়োজন সারাদিন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আর কর্মজীবি মানুষ বাইরে বের হলেও তাদের চোখমুখে আতঙ্কের ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন। বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যাও কমে এসেছে। তবে আগের তুলনায় হাট-বাজারেও জনসমাগম কমছে। আবার যারা গ্রাম থেকে নন্দীগ্রাম পৌর শহরে এসে বসবাস করছিলেন তাদের অনেকেই করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গ্রামের বাড়িতে যেতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ রকম হঠাৎ করেই নন্দীগ্রাম পৌর শহরের চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলায় করোনা ভাইরাসের কোনো রোগী এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এ পর্যন্ত ৪৭ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে যাদের ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়া ১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত না হওয়ায় তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস থেকে সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন। তাছাড়া জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রানা। থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লিফলেট করা হয়েছে। হোটেল ব্যবসায়ী আরব আলী বলেন, হোটেলে ক্রেতাদের চাপ নেই। এভাবে চললে খাবার হোটেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে ওষুধের দোকানে। ওষুধ কিনতে আসা ক্রেতা আবু নোমান বলেন, শহরের অনেক দোকানে ঘুরেছি, তারপরেও হেক্সসল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পায়নি। দোকানিরা যেন লুকোচুরি খেলছেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, এখন পর্যন্ত নন্দীগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিদেশ ফেরতদের প্রতি সর্তক রয়েছি। এ ছাড়া বিদেশ থেকে কেউ ফিরলে তার ব্যাপারে অবশ্যই তথ্য জানানোর জন্য আহবান করেন তিনি।