নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি শুক্রবার বিকেলে বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, পৌরসভায় স্থাপিত হোম কোয়ারান্টাইনে ৩৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনকে ডাক্তারের পরামর্শে রিলিজ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বসুরহাট পৌরসভাসহ সমগ্র উপজেলায় তাঁর ব্যক্তিগত এবং সরকারীভাবে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চালু আছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও একটি বেসরকারী হাসপাতাল আইসোলেশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জে করোনা পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে। খাদ্য সহায়তা, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন বা তাঁকে অবহিত করার অনুরোধও জানান মেয়র। অপরদিকে গ্রামেগঞ্জে ব্যক্তি উদ্যোগে যারা ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদও জানান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা, ওসি (তদন্ত) মোঃ রবিউল হকসহ উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রত্যেক এলাকাতে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যহত আছে। কোথাও কোন সমস্যা হলে তাঁকে জানানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, এলাকার জনগণকে ঘরে থাকার জন্য সচেতনতা কার্যক্রম অব্যহত আছে। মাঠে সেনাবাহিনীসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। তিনি বলেন, সরকারী নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসন এবার কঠোর পদক্ষেপ নিবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রবিউল হক বলেন, প্রত্যেকটা হাট বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রশাসন দেখলে লোকজন আড়াল হলেও পরে তারা আবার হাটে সমাগম করে। এতে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে সমগ্র উপজেলাবাসী।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা প্রশাসন, থানা ও সেনাবাহিনী গৃহীত কার্যক্রম সকল সাংবাদিকদের আন্তরিক সহযোগিতা থাকবে বলে সভায় জানানো হয়। অন্যদিকে সংকট পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদে ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।