নওগাঁর সাপাহারে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণে কঠোর অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত সাপাহারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহরাব হোসেন এর নের্তৃত্বে পৃথক এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী'র নের্তৃত্বে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ করতে উপজেলার সাপাহার, শিরন্টী, আইহাই ও পাতাড়ী ইউনিয়নে সকল প্রকার জনসমাগম বিছিন্ন করণ কার্যক্রম চালানো হয়। এ সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার দায়ে এবং অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় ১১ জনকে ২ হাজার ৩শত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহবার হোসেন এর নের্তৃত্বে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর সহায়তায় উপজেলা সদরের পুরো বাজারসহ সাপাহার সদর, শিরন্টী, গোয়ালা ও তিলনা ইউনিয়নের সকল বাজার পাড়া মহল্লায় ভাইরাসে সংক্রমণ রোধে সামাজিক দুরত্ব রজায় রাখতে সকল প্রকার জনসমাগম বিছিন্ন করণ, সাধারণ মুসল্লীদের মসজিদে প্রবেশ সংক্রান্ত ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনা সম্পর্কে মসজিদে উপস্থিত সকল মুসল্লীকে অবগত করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে তিনি তিলনা ইউনিয়নের হরিপুর মোড়ে সাপ্তাহিক হাট ভেঙ্গে দেন। এ সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার দায়ে ৫ জনকে ১ হাজার ৪ শত টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় পৃথক কার্যক্রমে উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার, সেনাবাহিনীর বিশেষ পেট্রোল টিম ও স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলার সাপাহার, শিরন্টী, আইহাই ও পাতাড়ী ইউনিয়নে ১হাজার ৩শত ৩৪ টি কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে ২য় পর্যায়ের সরকারি ত্রান সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী।