চলমান করোনা পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষের পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে ১০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় শুরু করেছে। তবে খোলা বাজারে চাল বিক্রয়ের প্রথম দিনেই চাল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন দিনমজুররা।
মঙ্গলবার বেলা ১১.১৫মিনিটে চাল না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় কথা হয় উপজেলার নজিপুর পৌর সদর বাঁদপুঁইয়া কর্মকার পাড়ার মিলন কর্মকার, বাবলু কর্মকার, আরতি কর্মকার, সুমিত্রা কর্মকারসহ ১০/১২জন নারী-পুরুষের সাথে। তাঁরা জানান, বর্তমানে হাতে কোন কাজকর্ম নেই। সরকারের বা ব্যক্তিগত কোন রিলিফও তারা পাননি। এজন্য খবর পেয়ে ভ্যান নিয়ে ১০টাকা কেজির চাল নিতে এসেছিলেন। সকাল থেকে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে রেখে বেলা ১১টার সময় চাল শেষ বলে তাদের বিদায় করা হলো। এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, চাল দেওয়া হবেই না তাহলে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হলো কেন।
এ বিষয়ে নজিপুর খাদ্য গোডাউন কর্মকর্তা সুজন কুমার মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পত্নীতলা উপজেলায় খোলা বাজারে চাল বিক্রয় করার জন্য নজিপুর পৌর এলাকায় ৫টি ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। সপ্তাহের প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এই ডিলারদের মাধ্যমে ২টন করে চাল বিক্রয় করা হবে। যে কেউ ১০টাকা কেজি হিসাবে সব্বোর্চ ৫কেজি চাল খোলা বাজার হতে ক্রয় করতে পারবেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিলার স্বপন কুমারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা বরাদ্দকৃত চাল দিয়ে ২শত জনকে দিতে পারি। কিন্তু ক্রেতা অনেক বেশী। এক্ষেত্রে ক্রেতা ফিরে গেলে আমাদের কিছু করার থাকে না। ৫টি ডিলার একসাথে চালু থাকলে আরো বেশী মানুষকে চাল দেওয়া সম্ভব হতো। ক্রেতা বেশী হওয়ায় বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যে কর্ত্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।