মণিরামপুরে ভবদহ এলাকার হরিনদীর তীরবর্তী পাউবো’র (পানি উন্নয়ন বোর্ড) জমিতে পাকা দোকান ঘর নির্মাণের মহোৎসব চলছে। করোনা ভীতিকে পুঁজি করে স্থানীয় এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রনে উপজেলার কপালিয়া বাজারে পাউবো’র ১৬ শতক জমির উপর এই ঘর নির্মান করা হচ্ছে। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলে নবাগত বলে স্থানীয় আওয়ামীলীগের অনেকেই জানান। করোনাভাইরাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কেউ আসতে পারবে না বুঝতে পেরেই এ জমি দখল করতে ঘর নির্মানের উৎসবে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানাযায়, ভবদহ এলাকার কপালিয়া বাজারের পাশ দিয়ে বইয়ে গেছে হরি নদী। এ নদীর তীরবর্তী কপালিয়া বাজার সংলগ্ন ২৪৬ কপালিয়া মৌজায় আরএস রেকর্ড অনুযায়ী ৬৩০১ দাগে ২ শতাংশ, ৬৩০২ দাগে ৪ শতাংশ এবং ৬৩০৪ দাগে ১২ শতাংশ জমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পাউবো’র (পানি উন্নয়ন বোর্ড) অনুকূলে রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় মনোহরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম, দ্বীন মোহাম্মদ, নূর মোহাম্মদ, আব্দুল লতিফ ও প্রভাষক হাসান আলী সরদার জমি দখল নিতে মরিয়া উঠে।
কিন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারিতে তারা পেরে উঠেনি। বর্তমান করোনা ভীতির সুযোগ নিয়ে এই ৬ প্রভাবশালী ওই জমিতে দোকান ঘর (পাকা) নির্মাণ শুরু করেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান, এরা সবাই আওয়ামী লীগের নবাগত। ভবদহ স্লইচগেটে পাইবো’র দায়িত্বপ্রাপ্ত ফারুক হোসেন বলেন, তিনি নিষেধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি।
পাউবো’র উপসহকারি প্রকৌশলী আসাদ্জ্জুামান পিয়াল ওই জমি পাউবো’র উল্লেখ করে জানান, আজ দেশের ক্রান্তিলগ্নে কিছু লোভী ব্যক্তির এমন কর্মকান্ডের সমালোচনার ভাষা নেই। এ মুহুর্তে প্রশাসনের কেউ সেখানে যেতে পারবে না বুঝতে পেরেই এ অনৈতিক কাজ করা হচ্ছে বল তিনি মনে করেন।
অবশ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান সরদার জমি নিজের দাবি করে বলেন, অন্যরা করলেও কেউ কিছু বলছে না। রফিকুল ইসলাম ইসলাম সরদার জমি পাউবো’র স্বীকার করে বলেন, তিনি টিনের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী ঘর করছেন। বাকীদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মশিয়ূর রহমান জানান, সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা করলে তাকে আইনের আওতায় নেয়া হোক।