করোনা ভাইরাসের উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন। সরকার এসব কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএস এর চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছেন। কিন্তু এসব চাল বিক্রির কার্যক্রমে সামাজিক দুরুত্ব মানা হচ্ছে না। ফলে এসব মানুষের মধ্যে মহামারী করোনা সংক্রমিত হওয়া আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার উলিপুর পৌরসভায় কর্মহীন মানুষের জন্য ওএমএস এর চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। সপ্তাহের ৩ দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ মেট্রিকটন করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি পরিবার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিয়ে ১০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রির কার্যক্রম চালু থাকবে।
রোববার পৌর শহরের থানামোড় ও গুনাইগাছ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চাল কিনতে আসা ক্রেতাদের দুই সারিতে নারী পুরুষের দীর্ঘ লাইন। সেখানে কিছুতেই সামাজিক দুরুত্ব মানছেন না তারা। একজন আরেকজনের শরীরের উপর ভর করে চাল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এদের অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ লোকের মুখে মাস্ক ছিলনা। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হেমন্ত কুমার বর্মন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে সর্বাত্তক চেষ্টা করেও তা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে গ্রাহকদের তালিকা তেরি করে সিরিয়াল অনুযায়ী ডেকে চাল বিতরণ করা হবে।