সরকারি ত্রাণ সামগ্রীর আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে প্রায় এক মাস যাবত ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর মোঃ আব্দুল হালিম। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে গিয়ে সহযোগীতা চাইলে কেউই তাকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে উপকার করেনি। নীলফামারী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে ডায়াবেটিস হাসপাতালের পেছনের বসবাস করেন মোঃ আব্দুল হালিম। সেই এলাকার এক যুবক তার করুন অবস্থার জানতে পেরে নীলফামারী সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি সাংবাদিক তাহমিনুল হক ববী কে অবগত করেন। তিনি জনৈক হাালিমকে নিজ বাসায় ডেকে পাঠান এবং ব্যক্তিগত ভাবে ত্রাণ প্রদান করেন। ত্রান সামগ্রীর মধ্য চাল ৬ কেজি, আলু ৪ কেজি, আধা লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি মসুর ডাল, বুট ডাল, লবন, একটি সাবান সহ নগদ অর্থ।
সাংবাদিক ববির বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেলো তিনি নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় থাকা অভুক্ত কুকুরদের ভাত খাওয়াচ্ছেন। এমন চিত্র দেখে ছবি তুলতে চাইলে তিনি নিষেধ করেন। তিনি বলেন আমি প্রচারে বিশ্বাসী নই। সামাজিক দায়িত্ববোধে বিশ্বাসী।
তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, অসহায় দিনমজুর রিক্সা ভ্যান চালকদেরও তিনি খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন। যা এখন অব্যাহত রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরবে তিনি মানুষ সহ পথের কুকুরদের পাসে দাঁড়িয়েছেন- যেটা নিজে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো নয়।
এদিকে মোঃ আব্দুল হালিম চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, পৃথিবীতে এখনও ভালো মানুষ আছে যা ওই সাংবাদিক ভাইকে না দেখলে জানতে পারতাম না। আল্লাহ তার পরিবারকে সুস্থ রাখে এই দোয়া করি আমি।
হালিমের মতো এখনো যারা অবহেলিত অবস্থায় রয়েছেন তাদের ব্যপারে সাংবাদিক ববি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। অন্যদিকে নীলফামারী জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিও সামর্থ্য অনুযায়ী জনৈক হালিমের মতো অসহায় মানুষের সহযোগীতা করার আহবান জানাই।
প্রকাশে থাকছে যে, তাহমিন হক ববী দৈনিক জনকন্ঠের জন্মলগ্ন থেকে নীলফামারী জেলায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে এক ছেলে নিয়ে নীলফামারী পৌর শহরের সবুজপাড়ায় বসবাস করেন। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ পরিচালিত সচেতন নাগরিক কমিটি(সনাক) নীলফামারী জেলার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে।