নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কানইল গ্রামে ভুট্টু পাহান (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী তারা মনিকে (৩৫) নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ভুট্টু পাহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তারা মনির ভাই শুক্কুর পাহান বাদী হয়ে ভুট্টুকে আসামি করে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিয়ামতপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী উপজেলার শিবপুর গ্রামের তারা মনির সঙ্গে নিয়াতপুর উপজেলার কানইল গ্রামের ভুট্টু পাহানের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। ভুট্টু পাহান প্রায় সময় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় স্ত্রী তারা মনিকে মারধর করতো। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মাঝেমধ্যেই বাবার বাড়ি চলে যেতেন তারা মনি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। ভুট্টু ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আবার স্বামীর ঘরে ফিরে আসতো তারা মনি। তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এ ধরণের ঝগড়া-বিবাদ প্রায়ই লেগে থাকতো।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আবারো নেশা করে বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ করে সন্তান সম্ভবা তারা মনিকে মারপিট করতে শুরু করেন পাষা- স্বামী ভুট্টু। স্বামীর বেধড়ক পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তারা মনির খুনের বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার সকালে থানা পুলিশকে খবর দেয় গ্রামবাসী। সংবাদ পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার এবং স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ভুট্টু পাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতন করেই ওই গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী ভুট্টু পাহানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ভুট্টু পাহানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।