রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি মন্দিরের জমি গোপনে লীজ দেবার অভিযোগ উঠেছে। লীজ প্রদানের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে মন্দিরের জমি লীজ বাতিল চেয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদেনও করা হয়েছে ।
লীজ বাতিলেরর লিখিত আবেদন ও মৌখিক অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কিসমত শাকপাল মৌজার ২৬.৩৭ একর, সদুবাজুর মৌজার ২৪২ জেএল নং এর ৪.৩৭ একর এবং রাইয়াপুর মৌজার ২৭৩ নং জেএল নং এর ১.২৪ একর জমি হিন্দুরের দের্বতর সম্পত্তি দুই পক্ষের মামলা আদালতে থাকায় তা রাজশাহী এডিসি বরাবর দেখা শোনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। যা রিসিভার রিসিভার সম্পত্তি নামে পরিচিত পায়। এই জমি গুলো লীজ প্রদানের জন্য নিয়ম অনুযায়ী গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি ও একজন আইনজীবিকে দায়িত্ব দেওয়া থাকে। তারাই মূলত লীজ সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব ও নিয়মাবলি ঠিক রেখে লীজ প্রদান করেন।
চৌদ্দুয়ার মন্দিরের সভাপতি শ্রী দিপলাল কর্মকার লিখিব আবেদনে উল্লেখ করেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ দেব বিগ্রহ ঠাকুর পিরিজপুর মন্দিরের জমি লীজ গ্রহণ করে আসছি। বিগদ বছরের ন্যায় এবারো লীজ গ্রহণের জন্য গোদাগাড়ী মডেল থানায় যোগাযোগ করলে সরকারী বিধী মোতাবে লীজ প্রদান করা হবে বলে জানায়। কিন্তু সরকারী নিয়মকে অমান্য করে ও আইন অনুযায়ী মাইকিং এবং বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে লীজ প্রদানে সিদ্ধান্ত হয় । লীজটি প্রতি বছরের পহেলা বৈশাখে লিজ প্রদান করা হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় করোনা ভাইরাসের কারণে লীজটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেও আমাদের অজান্তে লীজটি প্রদান করা হয়। তাদের দাবি লীজটি বাতিল করে পূনরাই লীজ প্রদান করলে পূজো মন্দিরের অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। লীজ প্রক্রিয়াটি তদন্ত কারে সত্যতা যাচাইয়ের দাবি জানান তারা।
গোদাগাড়ী উপজেলার চৌদ্দুয়ার মন্দিরের সভাপতি শ্রী দিপলার কর্মকার লীজ বাতিল চেয়ে এই লিখিত আবেদন করেছেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ খায়রুল ইসলামের কাছে লীজ প্রদানে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন , যারা অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়। লীজ প্রদানের সকল প্রক্রিয়া যথাযথ ভাবে পালন করা হয়েছে।